আইনটি গণমাধ্যমকে কঠিন অবস্থায় ফেলেছে
আমাদের সংবিধান পুরোপুরি বাক্ ও সাংবাদিকতার স্বাধীনতা নিশ্চিত করেনি। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, জনশৃঙ্খলা, নৈতিকতা, শালীনতাসহ কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইন করে সাংবাদিকতার স্বাধীনতাকে নিয়ন্ত্রিত করার ক্ষমতা সংসদকে দেওয়া হয়েছে। তবে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা সীমিত করার আইনগুলো যৌক্তিক ও ন্যায়সংগত হতে হবে। ইদানীং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর ভাবমূর্তিসংক্রান্ত ধারাগুলো (বিশেষত ধারা ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১) নিঃসন্দেহে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ঢালাওভাবে সীমিত করেছে।
এই ধারাগুলো এমনভাবে প্রণয়ন করা হয়েছে, যাতে ইচ্ছা করলে অনেক বক্তব্যকে এসব ধারার অপরাধ সংঘটিত হয়েছে মর্মে অভিযোগ আনা যাবে। এই গোছের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তারও করা যাবে। তথাকথিত অভিযুক্তকে বহুকাল জেল খাটতে হবে। কেন জানি না, ইদানীং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের মামলাগুলোতে বিচারকেরা সহজে জামিন দিচ্ছেন না। ফলে অনেক ক্ষেত্রে জেল খাটার ভয়ে সংবাদকর্মীরা সংবাদপত্রের স্বাধীনতাচর্চায় ইতস্তত করতে, এমনকি পিছপা হতে বাধ্য হচ্ছেন।