মারা যাচ্ছেন আইসিইউয়ে ভর্তি অর্ধেকের বেশি করোনা রোগী
ফোনে মায়ের মৃত্যুর সংবাদ আত্মীয়কে জানাতে গিয়ে ডুকরে ডুকরে কেঁদে উঠছেন ওমর। কিছুক্ষণ আগেই মাকে হারিয়েছেন। সেই শোক সইতে পারছেন না তিনি। পাশে বসা বৃদ্ধ বাবাও কথা বলার সময় ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠছেন।
এই চিত্র রাজধানীর উত্তরায় কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের আউটডোর প্রাঙ্গণের। গত কয়েকদিনে সরেজমিনে এমন দৃশ্যই বারবার দেখতে পেয়েছেন এই প্রতিবেদক। প্রতিদিনই হাসপাতালটিতে প্রবেশের সঙ্গে চোখে পড়েছে প্রিয়জনকে হারানো মানুষদের কান্না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালটিতে গত কয়েক মাসের ব্যবধানে মৃত্যু হার যেমন বেড়েছে, রোগী ভর্তির সংখ্যাও তেমনি ঊর্ধ্বমুখী। হাসপাতালটিতে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি হওয়া প্রায় এক তৃতীয়াংশ রোগীই মারা যাচ্ছেন। কোনো কিছুতেই যেন করোনার ছোবল থেকে রোগীদের রক্ষা করতে পারছেন না চিকিৎসকরা।
করোনা চিকিৎসার ৮৩৩৫ জেনারেল বেড, ৪৫৯ আইসিইউ বেড খালি: মন্ত্রণালয়
করোনাকালীন দেশের আট বিভাগের হাসপাতালগুলোর মধ্য থেকে এই মুহূর্তে মোট আট হাজার ৩৩৫টি কোভিড জেনারেল বেড এবং ৪৫৯টি কোভিড আইসিইউ বেড খালি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
হাসপাতালগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, দেশের আট বিভাগে এই মুহূর্তে মোট কোভিড ডেডিকেটেড শয্যাসংখ্যা ১২ হাজার ৩৬৫টি এবং মোট আইসিইউ শয্যা সংখ্যা এক হাজার ৮৪টি।
এগুলোর মধ্য থেকে বহু সংখ্যক রোগী চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়ায় এখন উল্লেখিত বেডগুলো খালি হয়েছে।
আইসিইউসহ সব সুবিধাই আছে অথচ খরচ কম
এক হাজার ১০০ শয্যা নিয়ে মহাখালীতে ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কভিড-১৯ হাসপাতাল যাত্রা শুরু করেছে। আগে এটি ডিএনসিসি মার্কেট নামেই পরিচিত ছিল। মার্কেটটিকে হাসপাতাল করার পেছনে অন্যতম প্রধান ভূমিকা রেখেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। কিভাবে এই হাসপাতাল তৈরিতে উদ্বুদ্ধ হলেন, কালের কণ্ঠ’র সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেছেন সেই সব কথা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নিজস্ব প্রতিবেদক শম্পা বিশ্বাস কালের কণ্ঠ : কভিড হাসপাতাল করার উদ্যোগ কিভাবে নিলেন? আতিকুল ইসলাম : আমি দেখেছি ডিএনসিসির বহু দোকানপাট বা শপিং মল আছে, সেখানে সব জিনিস পাওয়া যায়।
৩৩ লাখ মানুষ থাকে, অথচ একটি আইসিইউ নেই!
করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা লেগেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেও। এরইমধ্যে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। অবাক করা বিষয় হলো, ৩৩ লাখ মানুষের এই জেলায় সরকারি-বেসরকারি কোনও হাসপাতালে একটি আইসিইউ বেড নেই। গুরুতর রোগীদের তাই ছুটে যেতে হচ্ছে ঢাকায়।