কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

রাসায়নিক পল্লির মাটি ভরাটই শুরু হয়নি

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২১, ১১:১৫

২০১০ সালের ৩ জুন পুরান ঢাকার নবাব কাটারার নিমতলীতে ভয়াবহ আগুনে ১২৪ জন মানুষ মারা যান। এরপর পেরিয়েছে ১০ বছরের বেশি সময়। কিন্তু রাসায়নিকের গুদাম সরিয়ে নিতে পল্লি প্রতিষ্ঠার প্রকল্পে মাটি ভরাটই শুরু হয়নি।


পল্লি প্রতিষ্ঠার আগে রাসায়নিকের ব্যবসা অস্থায়ী গুদামে সরিয়ে নেওয়ার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, তা-ও বাস্তবায়ন শেষ হয়নি। এরই মধ্যে গত শুক্রবার ভোররাতে পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় আগুনে মারা গেলেন ৪ জন। হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২০ জন, যাঁদের কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।


ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাসায়নিক পল্লি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল নিমতলীর আগুনের পরপরই। তবে ২০১৯ সাল পর্যন্ত শুধু প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছিল, যার ব্যয় ধরা হয়েছিল ২০২ কোটি টাকা। জমির পরিমাণ ছিল ৫০ একর।


এর মধ্যে ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি চকবাজারের চুড়িহাট্টার ওয়াহেদ ম্যানশন নামের একটি ভবনে আগুনে মারা যান ৭১ জন। এরপর আগের পরিকল্পনা বাতিল করে মুন্সিগঞ্জের ৩১০ একর জমিতে রাসায়নিক শিল্পপল্লি প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়।


নিমতলীর অগ্নিকাণ্ডের জিডির তদন্তই হয়নি


প্রায় ১১ বছর আগে পুরান ঢাকার নিমতলীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১২৪ জন মারা গেলেও কোনো মামলা হয়নি। শুধু ঘটনার কথা উল্লেখ করে বংশাল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছিল। নিয়ম হচ্ছে, কোনো ঘটনায় জিডি হলে পুলিশকে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে হয়। কিন্তু এত বছর পরও প্রতিবেদন দেয়নি পুলিশ। উল্টো জিডির নথিপত্রও এখন থানায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।


নিমতলীর ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ডের ৯ বছর পর ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে চকবাজারের চুড়িহাট্টায় আগুনে পুড়ে মারা যান ৭১ জন। এ ঘটনায় অবশ্য মামলা হয়েছে। তবে গত দুই বছরেও এ মামলার তদন্ত শেষ হয়নি। কবে শেষ হবে, সেটিও নিশ্চিত করে বলতে পারছে না পুলিশ।


রাসায়নিকের গুদাম থেকে ওই দুই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। নিমতলীর ঘটনার পরই পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিকের গুদাম সরানোর দাবি উঠেছিল। তখন রাসায়নিক পল্লি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয় শিল্প মন্ত্রণালয়। কিন্তু প্রকল্প অনুমোদন হতেই প্রায় ৯ বছর পেরিয়ে যায়। এর মধ্যেই চুড়িহাট্টায় ওয়াহেদ ম্যানশন ভবনে থাকা রাসায়নিকের গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। চুড়িহাট্টার পর শিল্প মন্ত্রণালয় রাসায়নিকের কিছু গুদাম টঙ্গীর কাঁঠালদিয়া ও ঢাকার শ্যামপুরের বন্ধ হয়ে যাওয়া উজালা ম্যাচ ফ্যাক্টরির জমিতে অস্থায়ী ভিত্তিতে সরানোর উদ্যোগ নেয়। সেটিও এখনো আলোর মুখ দেখেনি। তবে কয়েকজন ব্যবসায়ী নিজেদের উদ্যোগে অল্প কিছু গুদাম বুড়িগঙ্গার ওপারে সরিয়ে নেন।


পুরানো ঢাকা থেকে কেমিকেলের মজুদ সরানো যাচ্ছে না কেন


পুরানো ঢাকায় আরমানিটোলায় বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আবারও নতুন করে সামনে এসেছে আবাসিক এলাকায় দাহ্য কেমিকেল মজুদের ভয়াবহতার বিষয়টি। এর আগে ২০১৯ সালের পুরানো ঢাকার চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৭৮ জনের প্রাণহানি হয়। তারও আগে ২০১০ সালে নিমতলী ট্র্যাজেডিতে প্রাণ হারান ১২৫ জন। এই প্রতিটি অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি বাড়ার পেছনে মূল কারণ ছিল মজুদ করা দাহ্য কেমিকেল।


প্রতিটি দুর্ঘটনার পর কেমিকেলের মজুদ সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে নানা আশ্বাস ও একাধিক তদন্ত কমিটি হলেও বাস্তবে তাদের কাজের কোন বাস্তবায়ন নেই। এতকিছুর পরও পুরানো ঢাকা থেকে এই কেমিকেলের মজুদ সরানো হয়নি। এক্ষেত্রে দায়িত্ব পাওয়ার পরও যারা এ ব্যাপারে কোন তদারকি করেনি, পদক্ষেপ নেয়নি তাদের বিরুদ্ধে এখনই আইনি ব্যবস্থা নেয়া দরকার বলে মনে করছেন নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও