দেশে করোনা সংক্রমণে নিম্নমুখী প্রবণতা
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। দুই সপ্তাহ ধরে কোভিড-১৯ শনাক্তের পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার নিম্নমুখী। চলতি সপ্তাহ থেকে মৃত্যুও কমতে পারে।
অবশ্য সংক্রমণ নিম্নমুখী হলেও সপ্তাহওয়ারি হিসাবে গত বছর সংক্রমণের সর্বোচ্চ পর্যায়ে যে পরিমাণ রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু হয়েছিল, এখনো তার চেয়ে বেশিসংখ্যক রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু হচ্ছে।
জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, লকডাউনের প্রভাবে সংক্রমণ কিছুটা কমে এসেছে। অবশ্য এটি নিয়ে ভিন্নমতও আছে। কিন্তু সবাই একমত, এখনো শঙ্কা কমেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ থেকে বাংলাদেশ এখনো দূরে। অসতর্ক হলে যেকোনো সময় পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
করোনায় আরও ৮৩ মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ২৬৯৭
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৯৫২ জনে।
এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৬৯৭ জন। এ পর্যন্ত দেশে মোট ৭ লাখ ৪২ হাজার ৪০০ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় অ্যান্টিজেন টেস্টসহ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২০ হাজার ৫৭১টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫৩ লাখ ২৩ হাজার ৫৭৯টি।
এক সপ্তাহে করোনা শনাক্ত কমলেও বেড়েছে মৃত্যু
রাজধানীসহ সারা দেশে চলমান লকডাউনের সুফল পাওয়া যাচ্ছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্তকৃত রোগী ২৫ শতাংশের বেশি কমেছে। একই সঙ্গে করোনা শনাক্তে নমুনা পরীক্ষা দুই দশমিক ৪০ শতাংশ কমেছে।
গত এক সপ্তাহে মৃত্যু সংখ্যা বাড়লেও আগের সপ্তাহের মতো বাড়েনি। গত এক সপ্তাহে সাত দশমিক ৫৬ শতাংশ মৃত্যু বৃদ্ধি পায়। যা পূর্ববর্তী সপ্তাহে ছিল ৩০ শতাংশেরও বেশি। একই সময়ে সুস্থতা ২১ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেড়েছে।
করোনা মোকাবিলায় সমন্বিত জাতীয় পরিকল্পনা নিতে আইনি নোটিশ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় স্বল্প, মাঝারি ও দীর্ঘমেয়াদি সমন্বিত জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন ও প্রকাশে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানিয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে চার সচিব ও সংশ্লিষ্ট দুটি প্রতিষ্ঠান প্রধানের বরাবরে সংগঠনের নির্বাহী সভাপতি ও আইনজীবী মো. হুমায়ন কবির আজ শনিবার ওই নোটিশ পাঠান।
স্বাস্থ্যসচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিকল্পনাসচিব এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক বরাবরে ই-মেইলে ওই নোটিশ পাঠানো হয়।