কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

কমলগঞ্জ আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে গুঞ্জন-ক্ষোভ

মানবজমিন প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে নানা গুঞ্জন ও অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি জেলায় প্রেরিত প্রস্তাবিত ওই কমিটির তালিকা প্রকাশিত হওয়ায় তোলপাড় চলছে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে। নানা অভিযোগ তুলে ওই কমিটির বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। জানা গেছে, সম্মেলনের প্রায় দেড় বছর পর কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি চূড়ান্ত করে ১২ই এপ্রিল মৌলভীবাজার জেলা কমিটিতে প্রেরণ করা হয়। কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল হয় ২০১৯ সালের ৯ই নভেম্বর। সে সময় সংগঠনের জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ সভাপতি পদে আসলম ইকবাল মিলন ও সাধারণ সম্পাদক পদে এডভোকেট এস এম আজাদুর রহমান ও সহ-সভাপতি এবং যুগ্ম সম্পাদক পদসহ ৬ সদস্যের কমিটি গঠন করেন। এর প্রায় দেড় বছর পর ১২ই এপ্রিল ৭১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি চূড়ান্ত করে জেলা কমিটির কাছে জমা দেন উপজেলা নেতৃবৃন্দ। প্রেরিত ওই কমিটিতে দলের তৃণমূলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, সম্পাদকের মেয়ে, ভাইসহ আত্মীয় স্বজনদের কমিটিতে স্থান দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি স্থানীয় এমপি উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ ও উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমানের ভাই, ভাগ্নেরা পদ পাওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।  অভিযোগ রয়েছে ২০১৫ সালে মেয়র পদে খেলাফত মজলিশের সমর্থনে নৌকার বিপক্ষে নির্বাচনে অংশ নেয়া নজরুল ইসলাম যিনি স্কুল জীবনে শিবিরের সঙ্গে ছিলেন সম্পৃক্ত। তিনিও এ কমিটিতে জায়গা করে নিয়েছেন। কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন হেফাজত নেতা প্রবাসী শফিকুল ইসলাম (শাফির মোল্লা) ও ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক অর্থ-সম্পাদক আব্দুল আহাদ ফারুক মহাজন। জামায়াত নেতা নুরুল ইসলামও স্থান পেয়েছেন প্রস্তাবিত তালিকায়। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা ক্ষোভের সঙ্গে অভিযোগ করে বলেন, প্রস্তাবিত ৭১ সদস্যে বিশিষ্ট কমিটিতে সরাসরি হেফাজত, বিএনপি রাজনীতিতে জড়িতরা ছাড়াও কমিটি আত্মীয়করণ ও পরিবারতন্ত্রের মহড়াই বলা চলে। তারা বলেন, বর্তমান কমিটির সভাপতি আসলম ইকবাল মিলনের মেয়ে রোকশানা আক্তার, ছোট ভাই আব্দুল জব্বার, আত্মীয় বদরুল আলম, আব্দুল আহাদ ফারুক, খলিলুর রহমানও স্থান পেয়েছেন ওই কমিটিতে। সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এস এম আজাদুর রহমানের ভাতিজা, চাচাতো ভাইও কমিটিতে রয়েছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমানের ভাগ্নে সাহেদুল আলম, চাচাতো ভাই মোশাহিদ আলী, আব্দুল বাছিতকেও কমিটিতে রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও এমপি উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ ও তার ৩ ভাইও গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, এখন আর দলের কাজ করা লাগে না। আত্মীয়-স্বজন নেতা হলেই পদ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আসলম ইকবাল মিলন বলেন, দলের সাংগঠনিক ভিত্তি কমিটির অনুমোদনের পর তালিকা প্রকাশ হলে কারা আছেন না আছেন তখন দেখতে পারবেন। আমরা অবশ্যই স্বচ্ছতার সঙ্গে তালিকা প্রেরণ করেছি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত