কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ইতিহাসের শিক্ষা ও আমাদের করণীয়

কালের কণ্ঠ ড. মো. নাছিম আখতার প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০২১, ১০:০২

১৯৫৮ সালে চারটি প্রাণীকে চীন নিজের উন্নয়নের জন্য বাধা হিসেবে চিহ্নিত করে। এই তালিকায় ছিল ইঁদুর, মশা, মাছি ও চড়ুই। বিশেষ করে ইউরেশিয়ান গেছো চড়ুইকে মারার জন্য টার্গেট করা হয়। প্রায় ৬৫ কোটি চড়ুই পাখি নিধন করা হয় সেই সময় চীনে। এর পোশাকি নাম ‘দ্য গ্রেট স্প্যারো ক্যাম্পেইন’। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা রিপোর্টে বলা হচ্ছিল যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ফসল খেয়ে ফেলে আমাদের চারপাশে বসবাসরত চড়ুই পাখির দল। আর তাই এ সমস্যার সমাধানে দেশ থেকে সব চড়ুই পাখি মেরে ফেলার নির্দেশে সিলমোহর দেন তৎকালীন চীনের সরকার। গণহারে শুরু হলো চড়ুই মারা। কিন্তু ৯৬ লাখ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটি থেকে রাতারাতি চড়ুই পাখি বিলুপ্ত করে দেওয়া তো আর যেমন-তেমন কথা না। তাই কিভাবে চড়ুই পাখি মারা যায়, তা নিয়ে রীতিমতো গবেষণা চালানো হয়েছিল। লোকে ড্রাম আর থালা নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ত, চড়ুই দেখলেই বাজানো শুরু করত। প্রবল বাদ্যযন্ত্রের শব্দে ভীত হয়ে পালাত চড়ুই। কিন্তু চারপাশের ক্রমাগত আওয়াজে একসময় দুর্বল হয়ে হৃৎপিণ্ড থেমে যেত ছোট্ট পাখিগুলোর। সে সময় চড়ুই নিধনসংক্রান্ত এক করুণ ঘটনার সাক্ষী ছিল বেজিংয়ে অবস্থিত পোলিশ দূতাবাস। শোনা যায় আশপাশের লোকের আক্রমণে টিকতে না পেরে প্রচুর চড়ুই পাখি দূতাবাসের ভেতরে আশ্রয় নেয়। কিন্তু পোলিশ কর্তৃপক্ষ চীন সরকারের অনুরোধ সত্ত্বেও দূতাবাসের ভেতর চড়ুই নিধনকারীদের ঢোকা নিষিদ্ধ করে। এতে খেপে গিয়ে দূতাবাস ঘিরে হাজার হাজার লোক রাত-দিন ড্রাম বাজাতে থাকে। ড্রামের বিকট শব্দে হার্টফেল করে মারা যায় অনেক চড়ুই। এভাবে টানা দুদিন বাজানোর পর লোকজন সরে গেলে দেখা যায় দূতাবাসের উঠানে এত পরিমাণ মরা চড়ুই পড়ে আছে যে তা অপসারণের জন্য পোলিশদের বেলচা পর্যন্ত ব্যবহার করতে হয়েছিল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও