ডিএসসিসির করোনা হাসপাতাল ঝুলে আছে কেন?
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের চালু হওয়া একটি করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের কার্যক্রম ঝুলে আছে প্রায় সাড়ে ৫ মাস ধরে। করোনা ডেডিকেটেড হিসেবে চালু হলেও চিকিৎসা এখন বন্ধ।
গতবছর প্রথম শনাক্তের পরই ১৫০ শয্যার হাসপাতালটির ১০০ শয্যা করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা হয়। তখন হাসপাতালের অন্য চিকিৎসা সেবাও বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু এবছর মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ প্রকট রূপ নিলেও হাসপাতালটির করোনা বিভাগ চালু হয়নি।
কর্তৃপক্ষ বলছে, গতবছরের বকেয়া পরিশোধ করেনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। প্রথম থেকে চিকিৎসায় যুক্ত থাকা ডাক্তার-নার্সরাও প্রণোদনার অর্থ পাননি। তাছাড়া সরঞ্জামের ঘাটতিও রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৫০ শয্যার হাসপাতালটি পরিচালনা করে ডিএসসিসির স্বাস্থ্য বিভাগ।
ডিএনসিসি করোনা হাসপাতালের জন্য ২৬ কোটি টাকা চায় স্বাস্থ্য বিভাগ
করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১৫০০ শয্যার ডিএনসিসি করোনা আইসোলেশন সেন্টার (বর্তমান ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল) -এর সেবা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রায় ২৬ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।
অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিবকে পাঠানো এক চিঠিতে ডিএনসিসি করোনা হাসপাতালের জন্য এই বরাদ্দ চেয়েছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।
বসুন্ধরার করোনা হাসপাতাল উধাও হয়নি, বণ্টন হয়েছে: স্বাস্থ্যের ডিজি
দেশে করোনা সংক্রমণের এক বছরেও আক্রান্তদের চিকিৎসায় স্বাস্থ্য খাতের সক্ষমতা বাড়েনি- গণমাধ্যম ও জনস্বাস্থ্যবিদদের এমন পর্যবেক্ষণের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
একইসঙ্গে এ ধরনের মন্তব্যের জন্য সাংবাদিক ও জনস্বাস্থ্যবিদদের এক হাত নিয়েছেন তিনি। বুধবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি দাবি করেন, সাংবাদিকদের নেতিবাচক প্রতিবেদনের কারণে চিকিৎসকরা করোনাবিরোধী যুদ্ধে মনোবল হারাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘কিছু পত্র-পত্রিকা এমনভাবে আমাদের সমালোচনা করছে, যেটা আমাদের মনোবলকে ভেঙে দিচ্ছে।