লকডাউনে বন্ধ থাকবে রিকশাও!
আসন্ন লকডাউনে ‘সব ধরনের গণপরিবহন’ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এ অবস্থায় নগরীতে বিরাজমান ১২ লাখ রিকশা চলবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী রিকশাও চলবে না।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সর্বাত্মক বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত চলাচলের সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনওভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।
অপরদিকে প্রজ্ঞাপনের তৃতীয় নম্বর কলামে বলা হয়েছে, ‘সব ধরনের পরিবহন (সড়ক, নৌ, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা ও জরুরি সেবাদানের ক্ষেত্রে এ আদেশ প্রযোজ্য হবে না।' সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন সব ধরনের পরিবহনের মধ্যে রিকশাও পড়ে। সে অনুযায়ী রিকশাও বন্ধ থাকবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সামাল দিতে বুধবার থেকে যে এক সপ্তাহের লকডাউন দিয়েছে সরকার, সেই সময়ে সব ব্যাংক বন্ধ থাকবে।
সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, “সরকার ঘোষিত বিধি-নিষেধ চলাকালীন সাধারণভাবে সব তফসিলি ব্যাংক বন্ধ থাকবে।”
তবে ব্যাংকগুলোর এটিএম বুথ এবং অনলাইন সেবা চালু রাখার ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
বুধবার থেকে ‘লকডাউনে’ অফিস-পরিবহন বন্ধ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সামাল দিতে বুধবার থেকে এক সপ্তাহ সব ধরনের অফিস ও পরিবহন চলাচল বন্ধের পাশাপাশি বাজার-মার্কেট, হোটেল-রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত এসব নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
এই সময় সব সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত অফিস এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বলা হলেও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শিল্প কারখানা চালু রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
লকডাউনের মধ্যে শপিংমল বন্ধ থাকবে; কাঁচাবাজারে কেনাবেচা হবে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত। হোটেল-রেস্তোরাঁ নির্দিষ্ট সময় শুধু খাবার বিক্রি, সরবরাহ করতে পারবে।
১৪ এপ্রিল থেকে যা করা যাবে, যা করা যাবে না
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সাত দিনের ‘সর্বাত্মক লকডাউনে’ কাজ ও চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর আজ সোমবার এ বিষয়ে আদেশ জারি করা হয়।
এতে সরকারি-বেসরকারি অফিস এবং গণপরিবহন বন্ধ রাখাসহ ১৩ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে শিল্প কারখানাগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে।