লকডাউনে শিল্প কারখানা খোলা থাকবে
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আগামী বুধবার থেকে কঠোর লকডাউনে জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ রাখার পরিকল্পনা করেছিল সরকার। তবে বাধ সাধেন তৈরি পোশাকশিল্প মালিকেরা। তাঁরা দাবি করেন, কারখানা বন্ধ করলে ক্রয়াদেশ হারাবে বাংলাদেশ। তা ছাড়া শ্রমিকেরা ছুটিতে গ্রামের বাড়ির দিকে রওনা দিলে সংক্রমণ আরও ছড়াবে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার লকডাউনে শিল্প কারখানা খোলা রাখার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে চিন্তাভাবনা করছে।
পোশাক কারখানা বন্ধ হলে বরং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে, দাবি মালিকদের
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ‘লকডাউনের’ মধ্যেও কারখানা খোলা রাখার দাবি জানিয়েছেন পোশাক শিল্প মালিকরা। তারা বলছেন, কারখানা বন্ধ হলে শ্রমিকরা গ্রামে ফিরতে গিয়ে উল্টো সারাদেশে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলবে। ‘কঠোর লকডাউন’ শুরুর তিন দিন আগে রোববার ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে কারখানা খোলা রাখার দাবি জানায় তারা।
যে কারণে গার্মেন্টস খোলা রাখতে চান মালিকরা
কঠোর লকডাউন আসছে ১৪ এপ্রিল থেকে। জরুরি সেবা ছাড়া বাকি সবই বন্ধ থাকবে এ সময়। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সুপারিশে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। এ বিষয়ে রবিবার প্রজ্ঞাপন জারি হবে বলেও জানান তিনি। তথাপি কঠোর লকডাউনেও গার্মেন্টস খোলা রাখার দাবি জানিয়েছে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
করোনা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি হওয়ায় সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করছে সরকার। তবে দেশের অর্থনীতির চাকা গতিশীল রাখার লক্ষ্যে গার্মেন্টস কারখানাগুলো চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ড. রুবানা হক।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- মার্স করোনা ভাইরাস
- পূর্ণ লকডাউন
- লকডাউনে শিল্প কারখানা খোলা
- করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব
- বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস
- আবদুস সালাম মুর্শেদী
- শেখ ফজলে ফাহিম
- খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম
- মোহাম্মদ হাতেম
- ফারুক হাসান
- বিকেএমইএ
- বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক সমিতি (বিজিএমইএ)
- বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)