আমেরিকা ও ইইউর তুরস্কের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ
তুরস্ক ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইইউতে তুরস্কের পূর্ণাঙ্গ সদস্য পদের ব্যাপারে ২০০৫ সালে আলোচনা শুরু করে তাদের মধ্যকার সম্পর্ককে একটি নতুন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার সূচনা করেছিল। তখন অনেকে এটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপসহ পশ্চিমা বিশ্বের সাথে তুরস্কের সুসম্পর্কের একটি টার্নিং পয়েন্ট হবে বলে আশাবাদী হয়ে উঠেছিল। সে সময় তুরস্কের একজন বিখ্যাত স্কলার জিয়া ওনিস তার এক নিবন্ধে তুরস্ক-ইইউ-যুক্তরাষ্ট্র ত্রিপক্ষীয় সম্পর্কের উপকারিতা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছিলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কেবল ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণেই তুরস্কের ইইউ সদস্য পদ অর্জন সহজ হবে না বরং একটি বিচ্ছিন্ন দেশ হিসেবে নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের একজন সদস্য হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে অধিকতর ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কোন্নয়নের ক্ষেত্রেও তুরস্ক বেশি সুবিধাজনক অবস্থানে পৌঁছতে পারবে। এতে পর্যায়ক্রমে তুরস্ক তার জাতীয় স্বার্থকে আরো ভালোভাবে সংরক্ষণ করতে পারবে এবং মধ্যপ্রাচ্যের ‘একটি আঞ্চলিক শক্তি’ হিসেবে আরো গঠনমূলক ভূমিকা পালনে নিজেকে সক্ষম করে তুলতে পারবে।’ তখন থেকে এ পর্যন্ত বহু ঘটনা ঘটেছে, যা তুরস্কের সাথে ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে মারাত্মকভাবে চ্যালেঞ্জ করেছে। তুরস্ক ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পায়নি এবং ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তুরস্কের সম্পর্ক তুরস্কের জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণে কোনো সহায়ক অবস্থান সৃষ্টি করতে পারেনি। আর তুরস্ক একটি আঞ্চলিক শক্তি হয়ে ওঠেনি। বর্তমান মধ্যপ্রাচ্যে অবশ্য কোনো দেশই আঞ্চলিক শক্তি হয়ে ওঠার মতো অবস্থানে নেই।