কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ফাঁকা বইমেলায় লোকসান গুনছেন প্রকাশকেরা

প্রথম আলো বাংলা একাডেমি প্রকাশিত: ০৭ এপ্রিল ২০২১, ২২:৪৪

দেশজুড়ে লকডাউনের মধ্যে রাস্তায় গণপরিবহন বিশেষ নেই। আগের দুদিন তো বাসই ছিল না। আজ বুধবার দু-একটি বাস চললেও রাজধানীর পথে চেনা সেই ভিড় দেখা যায়নি। বইমেলার পরিস্থিতিও ছিল একই রকম। চৈত্রের কাঠফাটা রোদের দুপুরে মেলার দরজা খুললেও পাঠক কিংবা ক্রেতার দেখা নেই।


নিয়ম রক্ষা করে দুপুর ১২টায় মেলা খুলছে ঠিকই। এরপর বিক্রেতাদের স্টলে বসে থাকা ছাড়া কোনো কাজ নেই। রোদের তাপ কমে এলে তিনটার পর একজন-দুজন করে লোক মেলার মাঠে আসতে থাকেন। পাঁচটায় মেলা বন্ধ। শেষ ঘণ্টাখানেক কিছু তরুণ-তরুণীর আনাগোনা দেখা যায় মেলার মাঠে। তাঁদের শতকরা ১০ জনও বই কেনেন না। আসেন বেড়াতে।


গণপরিবহন চালু হওয়ায় দর্শনার্থী বেড়েছে বইমেলায়


গণপরিবহন চালু হওয়ায় বইমেলায় দর্শনার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এতে নিস্তব্ধ বইমেলা আজ কিছুটা প্রাণ ফিরে পেয়েছে। স্টল, প্যাভিলিয়নে দেখা গেছে দর্শনার্থীর আনাগোনা। ব্যস্ততা দেখা গেছে বিক্রয়কর্মীদের মাঝেও। বইপ্রেমীরা স্টল প্যাভিলিয়ন ঘুরে ঘুরে পছন্দের বই কিনছেন।


তবে ক্রেতাদের আনাগোনায় প্রকাশকদের মাঝে একটু স্বস্তি দেখা গেলেও, প্রত্যাশা অনুযায়ী ক্রেতা না থাকায় অধিকাংশ হতাশা প্রকাশ করেছেন। এছাড়া তীব্র গরমে অস্বস্তিতে রয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। বইমেলা বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত করার দাবি জানিয়েছেন অনেকে।


বইমেলায় যাওয়া যাবে রিকশায়


জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, রিকশায় চলাচলে বাধা নেই। তাই এ বাহনে করে যাওয়া যাবে বইমেলায়। ৫ এপ্রিল, সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে এ কথা জানান তিনি। প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, রমজানে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধাস্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস চলবে  সকাল ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিজস্ব পরিবহন ব্যবহারের কারণে লকডাউনেও রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।


বইমেলা চালু কেন, বইমেলাতেই প্রশ্ন


করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের জারি করা লকডাউনের মধ্যে বইমেলা চালু রাখা হলেও ক্রেতা-দর্শনার্থী ছিল না বললেই চলে।


লকডাউনের প্রথম দিন সোমবার (৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টা থেকে বিকেলে ৫টা পর্যন্ত বইমেলা খোলা রাখা হয়। হাতেগোনা দুয়েকজন ক্রেতা-দর্শনার্থীকে মেলাপ্রাঙ্গণে ঘুরতে দেখা গেলেও অধিকাংশ স্টল-প্যাভিলিয়ন ছিল ক্রেতাশূণ্য।


লকডাউনে বইমেলা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া


করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠেছে যে, সরকার সারা দেশে নাগরিকদের ঘরে থাকার নির্দেশনা দিয়ে লকডাউনের মতো কঠোর পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে। এই লকডাউন সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে কার্যকর হবে। সরকার বলছে, আদেশ আমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


ঠিক এমন এক প্রেক্ষাপটে, বইমেলার লেখক-প্রকাশকরা আশায় থাকবেন; পাঠক মেলায় বই কিনতে আসবেন। কারণ, লকডাউনের মধ্যেও চলবে বইমেলা। বাড়ানো হয়েছে মেলার সময়ও। এখন থেকে প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মেলা চলবে বলে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। যদিও সাধারণ মানুষের পাশাপাশি কোনো কোনো লেখকও বইমেলা বন্ধের পক্ষে মত দিয়েছেন।


 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও