আদালত চলে গেলেই স্বাস্থ্যবিধি উধাও

প্রথম আলো ঢাকা মেট্রোপলিটন প্রকাশিত: ০৭ এপ্রিল ২০২১, ১৯:১৪

ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখেই পকেট থেকে মাস্ক বের করে পরে ফেলছেন। শাটার নামিয়ে ভোঁদৌড় দিচ্ছিলেন দোকানিরা। আদালত চলে গেলে মুখের মাস্ক আবার পকেটে ঢোকে। শাটার তুলে দিয়ে ক্রেতার জন্য চলে অপেক্ষা। গতকাল বুধবার বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল এলাকায় দেখা গেল এমন চিত্র।


দেশজুড়ে লকডাউনের বিধিনিষেধ আরোপের তৃতীয় দিন আজ। সরকারি নির্দেশনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, মাস্ক পরা, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের না হওয়ার কথা থাকলেও অনেকেই তা মানছেন না। বরং ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু হলে নানা ছুতো দেখাচ্ছেন নগরবাসী।


করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও এলাকায় আজও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। ঢাকা জেলা প্রশাসন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ ও র‌্যাব এসব ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। তবে অভিযানের পরও মানুষের মধ্যে নির্দেশনা মানতে অনীহা দেখা গেছে।


স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে চট্টগ্রাম নগরজুড়ে অভিযান


করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশব্যাপী চলাচলের ওপর বিধিনিষেধের তৃতীয় দিনেও চট্টগ্রাম নগরজুড়ে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসনের একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসব অভিযানে জরিমানার পাশাপাশি জনসাধারণের সচেতনতার জন্য মাস্ক বিতরণ করা হয়।


বুধবার (৭ এপ্রিল) জেলা প্রশাসনের সাতজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পরিচালিত এসব ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৩১ মামলার বিপরীতে মোট ২৭ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। একই সঙ্গে সচেতনতার জন্য প্রায় ৫৫০০ মাস্কও বিতরণ করা হয়।


স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল কোর্ট, জরিমানা


মহামারি করোনাভাইরাস থেকে জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে।
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ডিএনসিসি। এতে বলা হয়েছে, মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় নানা অনিয়ম পাওয়ায় জরিমানা করা হয়েছে।


বুধবার (৭ এপ্রিল) মিরপুর-১০ অঞ্চলের আঞ্চলিক নিবার্হী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালেহা বিনতে সিরাজের নেতৃত্বে মিরপুর ১৪ নম্বর সেকশন এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় মাস্ক ছাড়া রাস্তায় ঘোরাঘুরির অপরাধে ৭ জনকে মোট ৭০০ টাকা জরিমানা করা হয়।


স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ট্রলার-স্পিডবোটে অবাধে চলাচল


করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সারা দেশে সাত দিনের লকডাউন চলছে। লকডাউন চলার সময় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে যাত্রীবাহী সব ধরনের নৌযান। অথচ প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌপথে অবাধে চলাচল করছে ট্রলার ও স্পিডবোট। এই নৌযানগুলোতে মানা হচ্ছে না কোনো স্বাস্থ্যবিধি।


বুধবার (৭ এপ্রিল) বেলা তিনটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সরেজমিনে বাংলাবাজার ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা যায়, বন্ধ রয়েছে লঞ্চ ও স্পিডবোট কাউন্টার। তাই পন্টুনগুলোয় নেই যাত্রীরা। তাঁদের বিচরণ পাওয়া গেল ঘাটের পাশে বেড়িবাঁধের ওপরে। এখানে তাঁরা অপেক্ষা করছেন পদ্মা পারাপারের জন্য। জরুরি ভিত্তিতে মাঝেমধ্যে দু–একটি ফেরি ছাড়া হচ্ছে। ফেরিতে কেউ কেউ উঠতে পারলেও বেশির ভাগই উঠতে পারছেন না ফেরিতে। যাত্রীরা উপায় না পেয়ে পারাপার হচ্ছেন ট্রলার ও স্পিডবোটে। ভাড়া কিছুটা কম হওয়ায় যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় প্রতিটি ট্রলারে। ট্রলার ও স্পিডবোটে ওঠা বেশির ভাগ যাত্রীর মুখে মাস্ক নেই। আবার কিছু যাত্রীর মুখে মাস্ক দেখা গেলেও নিয়ম মেনে তা কেউ পরছেন না। ট্রলার-স্পিডবোটে সামাজিক দূরত্ব নেই, নেই লাইফ জ্যাকেটও।


মসজিদে সভা-সমাবেশ নয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে তারাবি


করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের সব জুমা ও পাঁচ ওয়াক্তের নামাজ এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনার আগে ও পরে কতিপয় বিষয়ে নিরুৎসাহিত করতে শর্ত বেঁধে দিয়ে জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।


জুমা ও অন্যান্য ওয়াক্তের নামাজ এবং প্রার্থনার আগে এবং পরে মসজিদ ও উপাসনালয়ে কোনো প্রকার সভা-সমাবেশ করা যাবে না। মসজিদে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে আসন্ন রমজানে তারাবির নামাজ আদায় করতে হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও