অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন পাওয়ায় অনিশ্চয়তা: অন্য উৎস খুঁজছে সরকার
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের পরবর্তী চালান পাওয়ায় অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় অন্যান্য উদ্ভাবকদের কাছ থেকে টিকা কেনার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে সরকার।
ইতোমধ্যে সরকার ঢাকায় নিযুক্ত চীন ও রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিবিআইবিপি-করভি ও স্পুটনিক-ভি ভ্যাকসিন কেনার বিষয়ে কথা বলেছে।
বিবিআইবিপি-করভি ভ্যাকসিন চীনের সিনোফার্ম, আর স্পুটনিক-ভি রাশিয়ার গামালেয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট তৈরি করেছে।
দুটি ভ্যাকসিনই ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুমোদন পেয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এখনো এই দুটি ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয়নি।
গতকাল দ্য ডেইলি স্টারকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘সম্প্রতি আমি ব্যক্তিগতভাবে চীন ও রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি তাদেরকে জানিয়েছি, বাংলাদেশ তাদের কাছ থেকে ভ্যাকসিন কিনতে আগ্রহী।’
আজ থেকে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজের এসএমএস পাওয়া যাবে
করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজের জন্য আজ সোমবার থেকে প্রথম ডোজ টিকা গ্রহীতারা মোবাইলে এসএমএস পেতে শুরু করবেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গতকাল রোববারের এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড ডিপ্লয়মেন্ট কোর কমিটির গতকালের সভায় পরবর্তী টিকাদান কার্যক্রম সংক্রান্ত ছয়টি দিকনির্দেশনা নির্ধারিত হয়েছে।
দিকনির্দেশনাগুলো হলো-
১. আগামী ৮ এপ্রিল থেকে দেশব্যাপী দ্বিতীয় ডোজ করোনা টিকা দেওয়ার পাশাপাশি প্রথম ডোজ টিকাদান অব্যাহত রাখতে হবে।
২. আগামী ৫ এপ্রিল থেকে প্রথম ডোজের পাশাপাশি দ্বিতীয় ডোজ টিকার তারিখ এসএমএস দিয়ে জানানো যাবে। এসএমএসে উল্লেখ করা তারিখ অনুযায়ী প্রথম ডোজ নেওয়ার কেন্দ্রে গিয়ে দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে হবে।
দ্বিতীয় ডোজের পর্যাপ্ত টিকা রয়েছে: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু করতে সরকারের পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকার মজুত রয়েছে এবং আগামী ৮ এপ্রিল থেকে যথাসময়ে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
আজ সোমবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এই কর্মসূচি নির্ধারিত সময়েই শুরু হবে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী।’
করোনাভাইরাসের টিকা: দুই ডোজ কি যথেষ্ট?
করোনাভাইরাসের টিকা রোগের তীব্রতা মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছানো থেকে সুরক্ষা দেয়।
তবে সেটাও একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। যে কারণে একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর নতুন করে টিকা নেওয়া প্রয়োজন হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাহলে এই টিকা কার্যকারিতা বাড়াতে বার বার নিতে হবে নাকি দুবার নিলেই যথেষ্ট? এরকম প্রশ্ন জাগতেই পারে।
করোনা টিকার কোনো সংকট হবে না: প্রধানমন্ত্রী
করোনা টিকার কোনো সংকট হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (৫ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদের সভায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের টিকার কোনো সংকট হবে না। দ্বিতীয় ডোজের কার্যক্রম চলতে চলতে বাকি টিকা চলে আসবে। এ সময় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানা ও মাস্ক পরার আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন, পরবর্তী বিধি-নিষেধের বিষয়ে আগামী বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে