গন্তব্যে যেতে ভরসা রিকশা–অটোরিকশা বা নিজের গাড়ি
আজ সোমবার সকাল ছয়টা থেকে শুরু হয়েছে লকডাউন। রাজধানীতে অন্যান্য দিনের তুলনায় সকাল থেকে যান চলাচল ছিল অনেকটা কম। সড়কে গণপরিবহন (বাস) দেখা যায়নি। তবে সড়কজুড়ে রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার আধিক্য ছিল। ব্যক্তিগত গাড়িও চলতে দেখা গেছে। মার্কেট বা শপিং মলগুলো ঘোষণা অনুযায়ী বন্ধই আছে।
তবে কিছু কিছু এলাকায় লেগুনায় যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। যে বাসগুলো চলছে, তা কোনো না কোনো অফিসের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়।
গণপরিবহন না পেয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ
গণপরিবহন না পেয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবরোধ করেছেন অফিস ও কর্মস্থলগামী মানুষ। এতে রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়। সোমবার সকাল ৯টার দিকে তারা সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ শুরু করেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ এসে অবরোধকারীদের সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
ঢাকা ছাড়ছে মানুষ, রাস্তায় স্থবির হাজার হাজার গাড়ি
স্থবির রাজধানীর পথঘাট, কোনওদিকে যাওয়ার উপায় নেই। রাজধানীর প্রধান সড়কে শুধু গাড়ি আর গাড়ি। সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে লকডাউন শুরুর খবরে নিম্নবিত্তের বেশিরভাগ মানুষ ঢাকা ছাড়ছেন। অনেক বেসরকারি চাকুরেও আছে সেই তালিকায়। রবিবার বিকেল থেকে ঢাকা থেকে বের হওয়ার মুখগুলোয় শুরু হয় তীব্র যানজট। গাড়ি যেন নড়েই না। ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তায় আটকে থাকা মানুষ বলছে, এই একমুখী যানজট ঈদের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।
দলে দলে মানুষ ঢাকা ছাড়ছে, টার্মিনালগুলোতে ঈদযাত্রার মত ভিড়
বাংলাদেশে সোমবার থেকে সারা দেশে সাতদিনের লকডাউন শুরু হচ্ছে। এ ঘোষণার পর শনিবার (২ এপ্রিল) দুপুরের পর থেকেই ঢাকা ছাড়তে শুরু করেন মানুষ। রোববার (৩ এপ্রিল) সকাল থেকে বাস টার্মিনাল, রেল স্টেশন, লঞ্চ ঘাট এবং বিমানবন্দরে ছিল বাড়ি ফিরতি মানুষের ভিড়। এরই মধ্যে লকডাউন বিষয়ক প্রজ্ঞাপন জারি করে বলা হয়েছে, সোমবার সকাল ছ'টা থেকে বাংলাদেশের সব ধরণের অভ্যন্তরীণ গণপরিবহন - অর্থাৎ ট্রেন, বাস, নৌপথ ও অভ্যন্তরীন বিমান চলাচল বন্ধ্য হয়ে যাবে।
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণে চূড়ান্ত পদক্ষেপ হিসেবে তা নিয়ন্ত্রণে সোমবার (৫ এপ্রিল) সকাল ছয়টা থেকে এক সপ্তাহের জন্য শুরু হয়েছে লকডাউন। আগামী ৭ দিন এটি কার্যকর থাকবে।
এ সময় মানুষের কাজ ও চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে থাকবে। জরুরি সেবা ছাড়া প্রায় সবকিছুই বন্ধ থাকবে। চলবে না কোনো গণপরিবহন। অভ্যন্তরীণ পথে উড়বে না উড়োজাহাজও।