গ্রামীণ উন্নয়ন ভাবনা যেভাবে শুরু
ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের গ্রামগুলো ছিল স্বনির্ভর। কোনো অভাব ছিল না; বৈষম্য ছিল না। যার যতটুকু প্রয়োজন জমি চাষ করত। ফসল ফলাত। পশু-পাখি পালন করত, মাছ ধরত। মানুষের চাহিদাও ছিল কম। হিন্দু, বৌদ্ধ ও মুসলিম শাসনামল পর্যন্ত গ্রামীণ জীবন ছিল সচ্ছল। জীবিকার প্রধান উৎস ছিল কৃষি। তার সঙ্গে গড়ে উঠেছিল কুটিরশিল্প, তাঁত ও ক্ষুদ্র পাটশিল্প। গ্রামসমাজ ও পঞ্চায়েতের ভিত্তিতে সংগঠিত ছিল গ্রামীণ জীবন। ইংরেজ আমলে কৃষক বাঁধা পড়ে গেল জমিদারদের জোয়ালে। ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ল পুরোনো গ্রামীণ সমাজ, গ্রামসভা ও পঞ্চায়েত। ভেঙে গেল স্বনির্ভরতা ও আত্মশক্তি। প্রতিকূল উত্পাদন সম্পর্ক, বৈরী আবহাওয়া, ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং উৎপাদিত পণ্যের অবনমিত মূল্য অভাব ও দারিদ্র্য বাড়িয়ে দেয় কৃষকের। তারা হয়ে পড়েন ঋণগ্রস্ত।
- ট্যাগ:
- মতামত
- বঙ্গবন্ধু
- কৃষি
- গ্রামীন উন্নয়ন