জর্জ হ্যারিসনের ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ’
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ছিষট্টির ছয় দফা, ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান ও সত্তরের নির্বাচনের মাধ্যমে চলমান স্বাধিকার আন্দোলন দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের আন্দোলনে রূপ নেয় মূলত বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে। ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম... যার যা আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে’ বলে তিনি যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, পরবর্তী সময়ে ২৫শে মার্চের কালরাতের হত্যাযজ্ঞের পর মূলত তা-ই সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণায় রূপান্তরিত হয়েছিল। তার স্বাধীনতার সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ডাকের সেই ঐতিহাসিক অগ্নিঝরা গান আর নিরস্ত্র বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে জীবনদানের ঘটনা তাত্ক্ষণিক উপমহাদেশের সীমানা পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়ে পশ্চিমা বিশ্বসহ পৃথিবীর সব প্রান্তে।