মধ্যপ্রাচ্যে ট্রাম্প-জো বাইডেনের নীতি-কৌশল পরম্পরা
একসময়ের বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী (পরে প্রধানমন্ত্রী) লর্ড পামারস্টোন একদা বলেছিলেন, ‘গ্রেট বৃটেনের কোনো চিরস্থায়ী শত্রু বা মিত্র নেই—আছে চিরস্থায়ী স্বার্থ’। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো পরাশক্তির কাছে এ কথাটা এক শ ভাগ সত্য। বিশ্বের কোটি কোটি শান্তিকামী মানুষের মতো বাংলাদেশের লোকেরাও বিশ্বাস করে মার্কিন নেতৃত্বের পরিবর্তন গোটা বিশ্বের অনেক কিছুতে পরিবর্তন আনবে। কিন্তু ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা লাভ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সময়কালকে বিশ্লেষণ করলে এটা সহজেই বোধগম্য হবে যে, পামারস্টোনের বাক্যটিই সত্য। প্রাথমিক সময়কালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শতবর্ষব্যাপী নিভৃতচারী নীতি কৌশল অনুসরণ করেছে। সে সময়টি ছিল তাদের নেশন স্টেট গড়ে তোলার সময়। উনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে তারা অথৈ অতলান্তিক অতিক্রম করার সাহস দেখায়। ঘোষিত হয় মনরো ডকট্রিন। এই নীতি কৌশলের সারকথা হলো—আমেরিকা আমাদের এবং সবটাই আমাদের। ট্রাম্প যখন বলেন, আমেরিকা ফার্স্ট অর্থাত্ আমেরিকা শুধুই আমেরিকানদের জন্য। তখন যেন সেই মনরো ডকট্রিনের প্রতিধ্বনি শোনা যায়। বস্তুত পরাশক্তি বা বৃহত্ শক্তি বা উন্নত রাষ্ট্রগুলোতে বিশেষত পররাষ্ট্রনীতির পরম্পরায় ধারাবাহিকতা লক্ষ্য করা যায়।