পর্যবেক্ষকের ‘কাজ’
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু হইবার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষকরা দৈনন্দিন সংবাদের শিরোনামে উঠিয়া আসিয়াছেন। ইদানীং ইহাই রীতি। এমন রীতি যখন একটি রাজ্যে প্রচলিত হয়, তখন বুঝিতে হয় যে, পরিস্থিতির কিছু বিশেষত্ব আছে। নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব কমিশনের। ভোটের আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি জারি হইবার পরে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের প্রশাসনের ক্ষেত্রে কমিশনের নজরদারি ও হস্তক্ষেপের অধিকার বিস্তর।
কমিশন রাজ্য প্রশাসনের সহিত সমন্বয়ের মাধ্যমে ও তাহার সহযোগিতার ভিত্তিতে সেই অধিকার প্রয়োগ করিবে, স্বাভাবিক অবস্থায় ইহাই প্রত্যাশিত। সেই সহযোগিতা ও সমন্বয়ের কাজটি মসৃণ ভাবে চালু থাকিলে কমিশনের কার্যকলাপ ‘সংবাদ’ হইয়া উঠিবার কারণ থাকে না। সমস্যা দেখা দেয়, যদি ভোটের আয়োজন লইয়া রাজ্য প্রশাসনের সহিত নির্বাচন কমিশনের সংঘাত বাধে। রাজ্যে সেই টানাপড়েন নির্বাচনী মরসুমে অবধারিত ঘটনা হইয়া দাঁড়াইয়াছে। রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় পক্ষপাতিত্বের বহুবিধ অভিযোগ উঠিবে এবং নির্বাচন কমিশন তাহার প্রতিকার করিবার যুক্তিতে প্রশাসনের কাজে হস্তক্ষেপ করিবে— ইহাই কার্যত ‘স্বাভাবিক’ বলিয়া গণ্য হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতেই কমিশনের পর্যবেক্ষকদের ভূমিকা উত্তরোত্তর প্রবল হইতেছে।