কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

তারাগঞ্জে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পে নানা অনিয়ম

মানবজমিন প্রকাশিত: ০৫ মার্চ ২০২১, ০০:০০

রংপুরের তারাগঞ্জে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্পের ঘর প্রতি ২.৮৩ ঘন মিটার মাটি খননের জন্য ৮৮ টাকা দরে মোট ২৪৯ টাকা এবং মাটি ভরাটের জন্য ৩.৫৭ ঘন মিটার প্রতি ৩০২ টাকা দরে মোট ১০৭৬.৯৯ টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে। তবে প্রকল্পের ২০০টি ঘরের মাটি খনন ও ভরাটে কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিক দিয়ে করানো হয়েছে। ফলে এ বাবদ বরাদ্দের টাকা সম্পূর্ণ আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়াও প্রতিটি ঘরে ১০ ইঞ্চি ইটের গাঁথুনির কাজ ৫৮.৯৮ বর্গমিটার দেখানো হলেও প্রায় ৩০.৯৮ বর্গমিটার কাজ করা হয়েছে এবং প্রাপ্ত তথ্যে ব্যয় ৩২ হাজার ১৬৭ টাকা দেখানো হলেও তা সঠিকভাবে করা হয়নি। ইটের গাঁথুনি দেয়া হয়েছে ৫ ইঞ্চি। আরসিসি ঢালাইয়ে (লিন্টেল) ১৮৩০.৬০ টাকা এবং রডের কাজে ৪৫ কেজি দেখানো হলেও সেখানে ১০-১৫ কেজি রড ব্যবহার করে প্রতিটি ঘরে নামমাত্র কাজ করা হয়েছে। কাঠের কাজে অপ্রাপ্ত বয়স্ক গাছের কাঠ ঘরগুলোতে ব্যবহার করা হয়েছে। ইকরচালী ইউনিয়নের কাঠ ব্যবসায়ী বেংটু ও দুলাল বলেন, অসার গাছ কেটে কাঠ তৈরি করে ঘরগুলোতে লাগানো হয়েছে। ফরিদাবাদ ও ইকরচালী ইউনিয়নের দীঘিরপাড়া এলাকায় সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে, কর্মসৃজনের লোকজন ঘরগুলোতে মাটি উত্তোলনের কাজ করছে। প্রতিটি ঘরের জন্যই স্টিমেট অনুযায়ী মেশিন ম্যাট ইট (অটো ব্রিক্‌স) দেয়ার নিয়ম থাকলেও সেখানে নিম্নমানের এমবি কোম্পানির হাতে তৈরি ইট ব্যবহার করা হয়েছে। নিম্নমানের বালু, রড ও সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। শ্রমিক সোহেল রানা, আসাদুজ্জামান, শাহীন, সফিকুল, রবিউলসহ একাধিক শ্রমিক জানান, মাটির নিচে কোনো ঢালাই নেই, লিনটন দেয়া হয়নি এবং মাটির উপরেই ইট বিছিয়ে ঘর তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে। সয়ার ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মমিনুর রহমান জানান, ইস্টিমেট অনুযায়ী ঘরগুলোতে লোহার তৈরি দরজা-জানালা লাগানোর কথা থাকলেও তা প্লেনশিট জাতীয় টিন দিয়ে তৈরি দরজা-জানালা লাগানো হয়েছে এবং হচ্ছে। পর্যাপ্ত মেশিন ম্যাট ইট থাকলেও হাতে তৈরি ইট ব্যবহার করা সম্পর্কে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন বলেন, আমি এখানে আসার আগেই এগুলো ক্রয় করা হয়েছে। তবে আমি মনে করি মেশিন ম্যাট ইটের দাম একটু বেশি হওয়ার কারণে হয়তো তা ব্যবহার করা হয়নি। উপজেলা প্রকৌশলী হায়দার জামান মুঠোফোনে বলেন, সমস্ত কাজ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা করেছেন। আমি নামমাত্র কমিটিতে আছি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি যেহেতু ইঞ্জিনিয়ার নই, তাই নির্মাণ কাজে কি ধরনের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে তা বলতে পারছি না। এ ব্যাপারে পিআইও এবং ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন তিনি। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান বলেন, বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবগত করবো।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে