বাংলাদেশের মতো আর কটা দেশ আছে আমার জানা নেই, যেখানে বিভিন্ন যুগপর্বের সরকার ও রাষ্ট্র পরিচালকরা শিক্ষা ব্যবস্থাপনাকে অ্যাডহক ভিত্তিতে দেখেছেন এবং দেখেন। আমাদের দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির গুণে যে প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার মানুষ সরকার টিকিয়ে রাখার ভূমিকা পালন করতে পারে, তারাই সবক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। তাই নীতিনির্ধারকরা পানির ওপরের স্তরটিতে তৃপ্ত থাকেন, পুকুর বা নদীর গভীরের দিকে দৃষ্টি দেন না। এই সক্ষমতা থাকতে হলে শিক্ষা ব্যবস্থাপনার কর্তৃত্ব থাকতে হয় শিক্ষাবিদ ও গবেষকদের হাতে। কিন্তু তাঁরা কখনো গুরুত্ব পাননি। সব কিছুতে রাজনৈতিকীকরণের অন্ধত্ব কাম্য লক্ষ্য অর্জন করতে দেয়নি। বর্তমান সরকার কিছু পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেছে বটে; কিন্তু তা লক্ষ্য পূরণে যথেষ্ট নয়। শুধু সাক্ষরতার হার বাড়লে আর ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা যুক্ত করলেই শিক্ষার উন্নয়ন হয় না। ইউরোপের মতো উন্নত দেশগুলোর নীতিনির্ধারকরা বিশ্বাস করেন, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য শিক্ষাকাঠামোকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন। তাই প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চতর স্তর পর্যন্ত পরিমার্জনা করা হয় সবচেয়ে মনোযোগে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী সরকারের গুরুত্বের তালিকার সবচেয়ে ওপরে থাকেন।
পাশাপাশি আমাদের অবস্থাটা কেমন তা আমার এক সহকর্মীর ভাষায় বলি—তিনি বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই পাশে দুটো সরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। উত্তরে সাভার সেনানিবাস আর দক্ষিণে বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বা পিএটিসি। বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ থেকে পাস করে শিক্ষার্থীরা সেনাবাহিনীতে যোগ দেন আর বিসিএস উত্তীর্ণ ক্যাডাররা প্রশিক্ষণ নিতে পিএটিসিতে আসেন। বিশ্ববিদ্যালয় লাগোয়া সেনানিবাসের পরিচালনায় প্রশিক্ষণকেন্দ্র বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা প্রথমে হয়তো অবাক হয়ে দেখেন এই দুই প্রতিষ্ঠানকে। অনেক গুণ বেশি আধুনিক ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষা উপকরণ রয়েছে সেখানে, যা তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাজীবনে দেখেননি।’ অর্থাৎ গভীরের দূষিত পানির শুদ্ধতা রক্ষার পরিচর্যা না করে উপরিকাঠামোকে ঝলমলে করা হচ্ছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.