পাট খাতে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে করণীয়

বণিক বার্তা মো. আবদুল লতিফ মন্ডল প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৩:৪৯

গত ২০ জানুয়ারি ও ৫ ফেব্রুয়ারি দ্য ডেইলি স্টারে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাজারে এক মণ কাঁচা পাট ৪ হাজার ২০০ থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা পাট কাটা ও ঘরে তোলার মৌসুমে অর্থাৎ গত জুলাই-আগস্টে ছিল ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা। কাঁচা পাটের নজিরবিহীন এ উচ্চমূল্য পাটচাষীরা পেলে তা হতো সুসংবাদ। কিন্তু তারা এ উচ্চমূল্য পাচ্ছেন না। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ উচ্চমূল্য পাচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা, যারা পাট কাটার মৌসুমে কম দামে বিপুল পরিমাণ কাঁচা পাট কিনে মজুদ করেন এবং এখন আকাশছোঁয়া দামে বিক্রি করছেন। পাটজাত পণ্যসামগ্রী উৎপাদনকারী পাটকল মালিকরা কাঁচা পাটের অভাব এবং অতি উচ্চমূল্যের কারণে তাদের মিল বন্ধের হুমকি দিয়েছেন। কাঁচা পাট রফতানিকারকরা রফতানি অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় আলোচনা করাই এ নিবন্ধের উদ্দেশ্য।

পাট চাষ, পাটজাত সামগ্রী তৈরি, পাট ও পাটজাত পণ্যাদির ব্যবসা-বাণিজ্য বহুকাল ধরে এ দেশের বিভিন্ন স্তরের মানুষের জীবিকা নির্বাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। ১৯৫০-৭০ সময়কালে তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে পাট ও পাটজাত পণ্যসামগ্রী রফতানি পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান উৎস ছিল। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর পাট খাতে কয়েকটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের তীব্র প্রতিযোগিতা, বিশ্ববাজারে কৃত্রিম তন্তুর আবিষ্কার, তত্কালীন আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক গৃহীত অননুকূল নীতি যথা ৮২টি পাটকল নিয়ে নবগঠিত বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশনের (বিজেএমসি) ওপর অভ্যন্তরীণভাবে পাট কেনা ও পণ্য উৎপাদনের একচেটিয়া দায়িত্ব প্রদান, ব্যবসা-বাণিজ্যে অনভিজ্ঞ সরকারি কর্মকর্তাদের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব অর্পণ, বেসরকারি খাতে পাট ব্যবসা বন্ধ, শুধু সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পাট রফতানি সংস্থাকে পাট রফতানির দায়িত্ব প্রদান ইত্যাদি কারণে পাট খাতে বিপর্যয় দেখা দেয়। ১৯৭৫-পরবর্তী সরকারের সময়ে অত্যধিক ক্ষতিতে থাকা সরকারি খাতের পাটকলগুলোর বিরাষ্ট্রীয়করণ শুরু, যা পরবর্তী সময়ে অব্যাহত থাকে, আশির দশকে বেসরকারি খাতকে পাটকল স্থাপন ও পাট ব্যবসার অনুমতি প্রদান পাট খাতে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করে। বেসরকারি খাতে এখন পাটকলের সংখ্যা আড়াইশ ছাড়িয়ে গেছে। এদিকে ক্রমাগত লোকসানের কারণ দেখিয়ে সরকার গত ১ জুলাই থেকে বিজেএমসির আওতাধীন ২৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ করে দিয়েছে। এগুলো কী পদ্ধতিতে এবং কখন চালু করা হবে তা অনিশ্চিত, যদিও এগুলো বন্ধ করে দেয়ার আগে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা বলেছিলেন, এগুলো সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) চালু করা হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও