ভবিষ্যতের যানবাহন

ডেইলি স্টার ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৭:১৪

আমার জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় সফরগুলোর একটি আমার স্মৃতিতে এখনো উজ্জ্বল হয়ে আছে। সেটা ১৯৫৫ সালের কথা। সে বছর কানাডায় অনুষ্ঠিত বয় স্কাউটদের দশম বিশ্ব জাম্বুরিতে অংশগ্রহণকারী বয় স্কাউটদের দলটি ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা ভ্রমণের সুযোগ পায়। আমি সে দলের একজন সদস্য ছিলাম। তখন আমার বয়স ১৫ বছর। সেটা ছিল উত্তেজনায় ভরা অবিস্মরণীয় একটি সফর, যা আমার মনে স্থায়ী ছাপ রেখে যায়।

উদাহরণস্বরূপ: সমুদ্রগামী বিলাসবহুল জাহাজে চড়ে আটলান্টিকের ওপারে যাওয়া ও ফিরে আসা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ থেকে ইউরোপের অনেক দেশের অভ্যুদয় প্রত্যক্ষ করা, দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশের গ্রামীণ পরিবেশে বেড়ে ওঠা এক কিশোরের চোখে পৃথিবীকে দেখা। এসবই ছিল আমার কাছে এক অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা। পনের বছর বয়সী এক কিশোরের জীবনে জানার এমন সুযোগ কয়জনের হয়?

জাম্বুরির দিনগুলো যেন দেখতে দেখতে ফুরিয়ে এল। সঙ্গে আমাদের রোমাঞ্চকর সফরও। আমাদের মন ক্রমেই খুব খারাপ হয়ে আসছিল। কেবলই মনে হচ্ছিল দেখার আরও অনেক কিছু বাকি রয়ে গেছে। ভাগ্যিস আমাদের সফরের আয়োজকদের মাথায় ছিল অন্যরকম চিন্তা। তারা চাইছিলেন আমাদের ২৭ জন কিশোরের বাড়ি ফেরাটা আরও রোমঞ্চকর হোক। তারা তাদের আগের পরিকল্পনাটা সম্পূর্ণ বাতিল করে আমাদেরকে সড়ক পথে মাইক্রোবাসে করে ইউরোপের ভেতর দিয়ে করাচি পৌঁছে দেওয়ার কথা ভাবতে শুরু করলেন। তারা পরিকল্পনা করলেন এতে আমাদের বিমান খরচ থেকে যে টাকাটা বেঁচে যাবে, তা দিয়ে তিনটি মাইক্রোবাস কেনা হবে। এই মাইক্রোবাসগুলো এরপর পাকিস্তান স্কাউট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পত্তি হিসেবে থেকে যাবে। কী চমৎকার চিন্তা!

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও