রাজকোষ ঘাটতির কথা না ভেবে খরচ করার সিদ্ধান্ত জরুরি ছিল
করোনা-পরবর্তী পরিস্থিতিতে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এ বারের বাজেট পেশ করলেন। বিগত এক বছরের আর্থিক মন্দা, সরকারের ক্রমহ্রাসমান আয় আর চাহিদার অভাব বর্তমান সরকারের কাজ বেশ কঠিন করে তুলেছিল। তাই এই বাজেট থেকে খুব বেশি প্রত্যাশা কারও মধ্যেই ছিল না। তবে অর্থনীতির ছাত্র হিসেবে কিছু নতুন সৃষ্টিশীল ভাবনা ও পদক্ষেপ আশা করেছিলাম। কিন্তু, তেমন কিছুই পেলাম না। হয়তো প্রত্যাশা একটু বেশিই ছিল। আসলে একটি সত্য আমাদের বুঝতে হবে। নির্মলা আগে বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন, বর্তমানে অর্থমন্ত্রী। বাণিজ্যমন্ত্রী আর অর্থমন্ত্রীর কাজের ধরন একটু আলাদা।
বাণিজ্যমন্ত্রীর মধ্যে সৃষ্টিশীলতা ততটা না থাকলেও চলে। কিন্তু অর্থমন্ত্রীর কাজে তা আবশ্যিক। নতুন নতুন পদ্ধতি, নকশা, ভবিষ্যৎ কর্ম-পরিকল্পনা উদ্ভাবন করা, অর্থাৎ নতুন ‘পলিসি ডিজ়াইন’ করা অর্থমন্ত্রীর কাজের একটি আবশ্যিক অঙ্গ। বর্তমান অর্থমন্ত্রীর মধ্যে এর কিছুটা অভাব আছে, সেটা অস্বীকার করা যাবে না। এই বাজেটেও সেই ছাপ রয়েছে।