বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়াই সবচেয়ে বড় সাহস
এক বছর হয়ে গেল। অথচ যেন সেদিনের কথা! সেনওয়েস পার্কে আমরা যুব বিশ্বকাপের ট্রফি নিয়ে বিজয় উদ্যাপন করছি। আরও বড় কিছু করার স্বপ্ন নিয়ে ফিরে আসি দেশে। আমাদের নিয়ে কত ভালো ভালো পরিকল্পনা করল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। যদিও করোনাভাইরাসের কারণে তার প্রায় কিছুই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।
বিশ্বকাপ জয়ের সেই বিকেলের কথা ভাবলে সবার আগে মনে পড়ে শিরোপা নিয়ে উদ্যাপনের স্মৃতি। সে কি পাগলাটে উদ্যাপন! একটু চুপচাপ বলে আমার নিজের মধ্যে রোমাঞ্চটা খুব বেশি কাজ করছিল না। তবে দলের অন্যদের আনন্দ দেখেই মনে হয় আমিও সেদিন উল্লাস করেছিলাম।
ম্যাচের আগে আমাদের অবস্থা দেখে বোঝার উপায় ছিল না আমরা চ্যাম্পিয়নও হতে পারি। দলের সবাই খুব স্বাভাবিক ছিল। পচেফস্ট্রুমে সেই বিকেলে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি এসেছিলেন খেলা দেখতে। তাঁদের উপস্থিতিতে পরিবেশটাই পাল্টে গিয়েছিল। জানতাম বাংলাদেশিরা মাঠে থাকবেন, তবে সেটা ভারতীয় দর্শকের তুলনায় স্টেডিয়ামের ৩০ ভাগই হবে ভেবেছিলাম। কিন্তু এত দর্শক হবে কল্পনাও করিনি। শেষ পর্যন্ত ফাইনালে বাংলাদেশ-ভারতের দর্শক ছিল প্রায় সমান।