কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

কাজের মানুষ

আনন্দবাজার (ভারত) ভারত প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২১, ০৩:৪০

যাহা খাইলে দুর্ভোগ, না খাইলে আক্ষেপ, সেই দিল্লির লাড্ডু খাইতে কেমন জানা নাই। তবে সংসারী মানুষের জীবনে তাহার স্থানটি লইয়াছে ‘কাজ।’ কাজ যাহার নাই, তাহার আফশোসের সীমা নাই। যাহার আছে, সে এড়াইতে পারিলে বাঁচে। কত অদ্ভুত কৌশলে মানুষ কাজের দিনেও ছুটির একটু স্থান করিয়া লয়, নির্দয় লোকে তাহাকে বলে ‘ফাঁকি।’ ওই ফাঁকটুকু না থাকিলে তাহার প্রাণবায়ু রুদ্ধ হইয়া আসে। উপনিষদের ঋষি বলিয়াছেন, কাজ করিয়াই শতবর্ষ বাঁচিতে ইচ্ছা করিবে। অমৃতের পুত্রকন্যারা সেই মন্ত্রদ্রষ্টাকে দূর হইতে গড় করিয়া, এক খিলি পান মুখে পুরিয়া বলে, ‘‘কাজ শেষ হইলে বাঁচি।’’ তবে দৈত্যকুলে যেমন প্রহ্লাদ, তেমনই মনুষ্যকুলে কিছু বিচিত্র জীব কাজ না করিলে বাঁচে না। তাহাদের তুমুল কর্মতৎপরতা দেখিয়া লোকে চমৎকৃত হইয়া বলে, ‘কাজের মানুষ বটে।’ এই প্রশংসায় কিঞ্চিৎ শ্লেষ কি মিশিয়া থাকে না? যাহারা একটু অবসর পাইলে ভাঙা বেড়া মেরামত করিতে বসে, শ্রীরামকৃষ্ণ তাহাদের প্রতি কঠিন বিদ্রুপ করিয়াছিলেন। পরমার্থচিন্তা এড়াইতেই সংসার-আসক্ত মানুষের এমন সদাব্যস্ততা, বলিয়াছিলেন তিনি। জীবনের কেন্দ্রে রহিয়াছে যে সকল সংশয়, তাহা আপন স্বরূপ লইয়াই হউক অথবা সমাজ-সংসারে কর্তব্য-অকর্তব্যের বিচার, কাজের বোঝা সরিলেই সেগুলি মাথা তুলিতে চায়। তখনই যেন পরিপাটি আলনাটি আবার গুছাইবার, পুরাতন হিসাব আরও একবার মিলাইবার নেশা পাইয়া বসে। ‘কাজের মানুষ’ বহু অর্থহীন কাজ করিয়া চলে, মানবজন্মের চিরকালীন প্রশ্নগুলি এড়াইতে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও