কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পৌরসভা নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) দলীয় প্রার্থী মো. তোফাজ্জল হোসেন খান (দিলীপ) লিখিত নির্বাচনী ইস্তেহার ঘোষণা করেছেন।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার নির্বাচনী কার্যালয়ে শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেয়ার ঘোষণা দিয়ে শিক্ষাবৃত্তি চালু ও শিক্ষার্থীদের জন্মসনদ ও নাগরিক সনদে সকল প্রকার হয়রানি মুক্ত করাসহ নাগরিক সুবিধার ১৩টি বিষয়কে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তার নির্বাচনী ইস্তেহার ঘোষণা করেন। এ সময় উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব আরিফুর রহমান কাঞ্চন, পৌর বিএনপি’র সভাপতি গোলাম ফারুক চাষি, প্রভাষক ছিদ্দিকুর রহমান, বিএনপি নেতা শফিকুর রহমান বাদল, পৌর ও উপজেলা বিএনপি’র নেতাকর্মী, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন। ইস্তেহারে সমাজের সর্বস্তরে ন্যায় বিচার, বাল্যবিবাহ বন্ধ, সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে পৌর এলাকাকে মাদক, সন্ত্রাস ও ইভটিজিং মুক্ত করা, ট্রেড লাইসেন্স ও অন্যান্য সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে হয়রানি ও চাঁদাবাজি দূর করা, চুরি, ছিনতাই, দস্যুতাসহ সামাজিক অপরাধ বহুলাংশে কমিয়ে আনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি স্থাপন করা, নাগরিকদের সেবা প্রদানের জন্য একটি হেল্পলাইন (সেবা ডেঙ) চালু করা, জলাবদ্ধতা দূরীকরণে সুপরিসর আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা নির্মাণ ও সংস্কার করা, শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণস্থানে ডাস্টবিন স্থাপন ও পরিচ্ছন্নতার উপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা, জনগুরুত্বপূর্ণস্থানে পাবলিক টয়লেট নির্মাণসহ শতভাগ স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারি ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সমূহ সংস্কার ও উন্নয়ন সাধন, প্রতিবন্ধী, অসচ্ছল ও বিধবাদের হোল্ডিং ট্যাঙ শিথিল ও সর্বসাধারণের সীমিত ট্যাঙের মাধ্যমে সেবার মান বৃদ্ধি করা, সেবামূলক কাজে প্রবাসীদের অগ্রাধিকার দেয়া, নাগরিকদের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থাসহ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাসমূহে রাত্রিকালীন লাইটের ব্যবস্থা করা, সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থ এলাকাভিত্তিক প্রয়োজনভেদে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা এবং পৌর প্রশাসনের সকল ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ঘোষণা প্রদান করেন।এ সময় তিনি সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে আরো বলেন, সরকার দলীয় প্রার্থীর প্রচারণায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদেরকে উসকানিমূলক কটাক্ষ করে মাইকিং, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রচারণায় বাধা, পোস্টার ছিঁড়ে, পুড়িয়ে নষ্ট করে প্রচারণায় আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে আসছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে লিখিত অভিযোগ জানালেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। প্রশাসন ও নির্বাচন অফিস স্বচ্ছ নির্বাচনের আশ্বাস দিয়ে এলেও সরকার দলীয় নেতাকর্মীগণ নির্বাচনের দিন কেন্দ্র দখল করে নিবে বলে প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে। এতে ভোটারদের মনে ভয় ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রতিটি কেন্দ্রে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার দাবি করেন। উল্লেখ্য, আগামী ৩০শে জানুয়ারি কটিয়াদী পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.