You have reached your daily news limit

Please log in to continue


করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভুগছে পোশাক খাত

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) মনে করে, করোনার প্রথম দফায় ঢেউয়ের প্রাদুর্ভাবে তৈরি পোশাক খাত ক্ষতিগ্রস্ত হলেও উদ্যোক্তাদের প্রত্যাশা ছিল তা কাটিয়ে উঠতে পারবেন। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউয়ে ব্যাপক সংক্রমণ শুরু হওয়ায় সংকটে পড়েছে দেশের এই শীর্ষ রপ্তানি খাত। করোনার অতিমারির কারণে পোশাক খাতে চলমান মন্দা পরিস্থিতি বাংলাদেশের একার পক্ষে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয় বলে জানায় সিপিডি। তাই প্রয়োজন বৈশ্বিক উদ্যোগ। শনিবার বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি আয়োজিত ‘রিকভারি অব দ্য অ্যাপারেল সেক্টর ফ্রম কোভিড-১৯ ক্রাইসিস: ইস অ্যা ভ্যালু চেইন বেইসড সল্যুশন পসিবল?’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। এতে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিসহ বিশিষ্টজনরা অংশ নেন। সিপিডি’র বিশেষ ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।প্রতিবেদনে বলা হয়, তৈরি পোশাক খাতের এই সমস্যা বৈশ্বিক; যা বাংলাদেশের একার পক্ষে সমাধান করা সম্ভব নয়। একটি পণ্য উৎপাদক থেকে খুচরা ক্রেতার কাছে পৌঁছানো পর্যন্ত রয়েছে কাঁচামালের যোগান, পরিবহন খাত, বৈশ্বিক ব্র্যান্ড, খুচরা বিক্রেতাসহ বহু অংশীজন। তাদের প্রত্যেককেই ভূমিকা রাখতে হবে নিজ জায়গা থেকে।শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের তুলনায় কিছুটা দামি পোশাক রপ্তানি করে- জানিয়ে গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বাংলাদেশের ২৩ শতাংশ কারখানা সংকটে রয়েছে, যেখানে শ্রীলঙ্কায় এই হার ৩১ শতাংশ। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ সংকট দীর্ঘায়িত হয়ে আগামী বছর পর্যন্তও স্থায়ী হতে পারে। পোশাক খাতের সংকট মোকাবিলায় সরকার, মালিক, শ্রমিক ও ক্রেতাদের সমন্বিত উদ্যোগ নেয়ার সুপারিশ করেন  গোলাম মোয়াজ্জেম।সংলাপে পোশাকখাত পুনরুদ্ধারে ঐক্যের ডাক দেন মালিক-সরকার ও শ্রমিক নেতারা। তারা বলেন, এখন বিভেদের সময় নয়। দরকার সব পক্ষের ঐক্য। এই ঐক্যবদ্ধ চেষ্টাই পারবে বৈশ্বিক এই সংকটে পোশাক খাতকে আগের চেহারায় ফিরিয়ে আনতে। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, দ্বিতীয় ওয়েভের কারণে সরকার নিশ্চয় পোশাকখাতে আবারো সাহায্যের হাত বাড়াবে। আগে যে ঋণ দেয়া হয়েছে তার মেয়াদ আরো বাড়ানো দরকার। এ বিষয়ে সরকার চিন্তাভাবনা করবে।অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, সংকট থেকে উত্তরণে এখন সমালোচনার চাইতে বেশি প্রয়োজন সকলের সহযোগিতা। কোনো প্রতিষ্ঠান সরকারের প্রণোদনা নেয়ার পরও কর্মী ছাঁটাই করে থাকলে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি। রুবানা বলেন, করোনার প্রথম ধাক্কায় রপ্তানি খারাপ অবস্থায় এসেছিল। সেটা মোটামুটি ওভারকাম করা গেছে। তবে ইউরোপে দ্বিতীয় ধাক্কার পর এখন পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে। গতি শ্লথ হয়ে গেছে। দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। যা ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। সরকার সহায়তার হাত না বাড়ালে উত্তরণ কঠিন হবে। অনুষ্ঠানে সিপিডি’র চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান উপস্থিত আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড এইচএন্ডএম-এর বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভিয়েতনামের কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউর রহমানের কাছে ক্রেতা হিসেবে তার কোম্পানি কোনো দায়িত্ব পালন করতে আগ্রহী কিনা জানতে চান।এ সময় জিয়াউর রহমান বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠান এই সংকট দূর করতে প্রতিশ্রুত। যদি সংকট মোকাবিলায় সরকার, মালিক, ক্রেতা ও শ্রমিক নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করে, তাহলে অবশ্যই এইচঅ্যান্ডএম পোশাকের মূল্য কিছুটা বাড়াতে রাজি আছে।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত হ্যারি ফারভেইজ বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ববাসীর পোশাকের জোগান দিতে বড় ভূমিকা রাখছে। তিনি বলেন, কোনো সরকার কোনো কোম্পানিকে সরাসরি নির্দেশনা দিতে না পারলেও নেদারল্যান্ডস সরকার সেদেশের পোশাক আমদানিকারকদের বাংলাদেশের অর্ডার বাতিল না করার অনুরোধ জানিয়েছে।সভাপতির বক্তব্যে সিপিডি’র বিশেষ ফেলো মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, পোশাকখাত এখন বৈশ্বিক মূল্য সমস্যার মধ্যে রয়েছে। কীভাবে এর চ্যালেঞ্জ উত্তরণের মধ্য দিয়ে খাতটি টেকসই করা যায়, সেটাই সবার উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। নতুবা এই সংকট আরো দীর্ঘায়িত হবে। বাংলাদেশ গার্মেন্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন বলেন, শ্রমিকরা খুব খারাপ অবস্থায় রয়েছে। মালিকদের উচিত শ্রমিকদের সুরক্ষায় নজর রাখা। এক্ষেত্রে মালিক, বায়ার এবং সরকারকে এই তিন পক্ষকেই এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে বায়ারদেরই দায়ভার বেশি বহন করতে হবে।শ্রমিক নেত্রী কল্পনা আক্তার বলেন, আমরা পোশাকখাতকে অবশ্যই বাঁচাবো। তবে মালিকদেরও শ্রমিকদের কথা চিন্তা করতে হবে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন