 
                    
                    সেদিন গণভবনের দরজা ছিল অবারিত
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অসীম ধৈর্য দেখে অবাক হতে হয়। অবাক হতে হয় তার সুবিশাল আর স্নেহপরায়ন হৃদয়কে উপলব্ধি করে। ১৯৭৩ সালের এ দিন ছিল ঈদুল আজহা। ঈদের দিনে শতশত গরিব-দুঃখীকে হৃদয়ের উষ্মতা দিয়ে ঈদ মোবারক জানান বঙ্গবন্ধু। কোলাকুলি করেন, খোঁজখবর নেন। সেদিন গণভবনের দরজা ছিল অবারিত। সর্বস্তরের মানুষ বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন। কারও হাতে ছিল ফুলের মালা। তাদের সকলের বুকভরা ছিল জাতির পিতার জন্য অপরিসীম ভালোবাসা। সারাদিন বঙ্গভবন সাধারণ মানুষের আনাগোনায় ভরপুর ছিল। সকালে নামাজের পরপরই রাষ্ট্রপতিও জাতির পিতাকে ঈদ মোবারক জানাতে আসেন। এছাড়া আসেন গণপরিষদের স্পিকার মোহাম্মদ উল্লাহ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা, রাজনৈতিক নেতারা এবং গণপরিষদ সদস্যরা। ধানমন্ডিতে ঈদের জামাত শেষ করে বাসায় ফিরে সেখানে উপস্থিত পুলিশ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার দায়িত্বে থাকা কর্মচারীদের শুভেচ্ছা জানান বঙ্গবন্ধু। গাড়ি থেকে নেমে তিনি কুশল বিনিময় করেন। এর আগে ধানমন্ডি ময়দানে নামাজ শেষে অসংখ্য ব্যক্তির সঙ্গে বঙ্গবন্ধু কোলাকুলি করেন। আর ভিড়ের কারণে যারা বঙ্গবন্ধুর কাছে পৌঁছাতে পারেননি, তাদের দিকে হাত নেড়ে তিনি শুভ কামনা জানান।
 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                