অনেক সামুদ্রিক ঝড় বিদায় লইবার সময় তাহার লেজের ঝাপটে ধ্বংসলীলার শেষ কিস্তি সম্পাদন করিয়া যায়। ডোনাল্ড ট্রাম্পের লেজের দাপট আমেরিকার ইতিহাসে নূতন অধ্যায় সংযোজন করিল। কলঙ্কের অধ্যায়। যে রাষ্ট্র গোটা দুনিয়ায় গণতন্ত্র রফতানি করিতে সদাব্যস্ত, তাহার আইনসভার গর্ভগৃহে হানাদারদের এই বেপরোয়া আক্রমণে সমস্ত নিন্দা বা ব্যঙ্গকে তুচ্ছ করিয়া বিপুল আকারে উঠিয়া আসিয়াছে এক বিপুল উদ্বেগ। গণতন্ত্রের বিপদ কতটা ভয়ানক হইতে পারে, ৬ জানুয়ারি ২০২০ তাহার স্মারক হইয়া থাকিবে। ভয় ও উদ্বেগের বিশেষ কারণ ইহাই যে, এই আক্রমণ আকস্মিক ছিল না, বরং এক অর্থে তাহা ছিল দীর্ঘ প্রস্তুতির ‘স্বাভাবিক’ পরিণতি। সেই প্রস্তুতি হিংস্র বিদ্বেষের, কদর্য অসহিষ্ণুতার, সর্বগ্রাসী স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতার। এই মানসিকতায় ইন্ধন দিয়া এবং তাহাকে কাজে লাগাইয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হইয়াছিলেন, তাহার পর চার বৎসর ধরিয়া বিভাজনী বিদ্বেষকে উত্তেজিত করিয়া গিয়াছেন। ভোটে হারিবার পরেও জনাদেশ অস্বীকার করিয়া প্রেসিডেন্ট থাকিয়া যাইবার জন্য উৎকট জবরদস্তি শেষ অবধি এক চরম মাত্রায় পৌঁছায়, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হোয়াইট হাউস হইতে আপন ‘সমর্থক’ বাহিনীকে কার্যত ক্যাপিটল আক্রমণে প্ররোচিত করেন। বুধবারের দক্ষযজ্ঞ তাহার পরিণাম।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.