করোনাকালে অসহায় মানুষের ত্রাতা একজন মনীষা
সে এক ভীষণ ভয়ের সময়। চীন ও পশ্চিমা দেশগুলোতে করোনায় মৃত্যুর খবরগুলো যখন এ দেশের মানুষ পাচ্ছিল, সঙ্গে জানছিল করোনা ক্রমে সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে, এ দেশেও করোনা আসবে কি না, সে আতঙ্কে তখন দিন কাটছে। ৮ মার্চ যখন এ দেশেই প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা ঘোষণা হলো, মানুষের সে সময়টার আতঙ্কের সঙ্গে শুধু একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালীন আতঙ্কেরই তুলনা চলে। জাতির বড় দুটি ক্রান্তিকালের সূচনাই যে মার্চে, এ–ও এক কাকতালীয়ই বটে।
বরিশাল বিভাগে প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় ৯ এপ্রিল পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায়। আর বরিশাল জেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ১২ এপ্রিল। সারা দেশের মতো বরিশালের মানুষও তখন দিগ্ভ্রান্ত। এ ধরনের বৈশ্বিক মহামারিতে কী করতে হবে, সে অভিজ্ঞতা আগে ছিল না বললেই চলে। ফলে প্রথম দিকের আতঙ্ক আর লকডাউনে শ্রমজীবী, দরিদ্র মানুষগুলো সবচেয়ে প্রান্তিক হয়ে উঠেছিল।