মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেন আরও ৬১ বীরাঙ্গনা
একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনী ও তার দোসরদের হাতে নির্যাতিত আরও ৬১ জন বীরাঙ্গনাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৭০তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের মুক্তিযোদ্ধার এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে গত ১৪ ডিসেম্বর গেজেটও জারি করা হয়েছে। এ নিয়ে ২০১৫ সালের ১২ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ৪০০ জন বীরঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেন। তারা প্রতি মাসে ভাতাসহ মুক্তিযোদ্ধাদের মত অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ৬১ জন বীরাঙ্গনা হলেন- কিশোরগঞ্জের নিকলী খালিশা হাটি গ্রামের সিজু বেগম, মৌলভীবাজারের মানগাওয়ের বেগম আছকিরুন নেছা, নাটোরের বড়গাছা পালপাড়ার আশালতা পাল, পশ্চিম মাধনগরের মানিকজান, হালিমা বেগম, সমর্থভান, ভট্টপাড়ার ইয়ারজান, রেখা বেগম, কানাইখালির হাজেরা বেগম, কাঠুয়াগাড়ীর হালিমা বেগম, সেনবাগের ছায়েরা খাতুন, হাজরার ফরিদা বেগম, দিঘাপতিয়ার লাইলী বেগম, উলুপুরের ফাতেমা বেগম, মাদারীপুরের পাখিরা রাজারচরের আয়েশা বেগম, বরগুনার তালুকের চরদুয়ানীর সালেহা খাতুন, রুপদোনার তরুণ বালা, ফরিদপুরের শোভারামপুরের মায়া রানী সাহা, বরিশালের পুরানপাড়ার হাজেরা বেগম, কুষ্টিয়ার হোসেনাবাদের সুফিয়া বেগম, হোসনেয়ারা বেগম, পিরোজপুরের পশারীবুনিয়ার রেনুকা চক্রবর্তী, ময়মনসিংহের পাইকা শিমুলের মৃত রেনু বেগম, ব্রাক্ষণবাড়িয়ার চান্দির সাহেরা বেগম, বগুড়ার বারপুর স্কুলপাড়ার জরিনা বিবি, ঠাকুরগাঁওয়ের কাশিপুরের (ঝাবরটলা) রোপন বেওয়া, মোজেফা খাতুন, মনোয়ারা বেগম, পটুয়াখালীর টাউন কালিকাপুরের হাজেরা বেগম, গিলাবুনিয়ার ফুল বরু ওরফে ফুল বানু, বোতলবুনিয়ার সালেহা বেগম, গেড়াখালীর আনোয়ার বেগম, ইটাবাড়িয়ার ছৈতুন নেছা, রিজিয়া বেগম,মৃত হাচেন ভানু, মৃত হাচন ভানু, মৃত জয়ফুল, মৃত ছকিনা খাতুন, মৃত ফুল ভানু, শিয়ালির মনোয়ারা বেগম, দুর্গাপুরের জমিলা বেগম, গোরস্থান রোডের মৃত জোবেদা, সাতক্ষীরার নাকিপুরের তুলসী চন্দনা রায়, খাগড়াছড়ির বড়পিলাকের রাহেলা বেগম, সিলেটের বুধিগাওয়ের জামিরুন নেছা, রহিমা বেগম, নবিরুন বেগম, বুধগাও হাওরের আসমা বেগম, ব্রান্মনের জয়নব বিবি, লেঙ্গুড়ার জয়তুন বেগম বাউরভাগের হাজোরা বেগম, তিতিকুল্লির রুকেয়া, আলমনগরের (মুড়া বস্তি) মমতা, জোস্না বেগম, গুরুকচির আলিপজান, পুকাশের সিমন্তী রাণী চন্দ, পাবনার মির্জাপুরের জামেনা খাতুন, গোপালগঞ্জের এড়োপাড়া-মোল্লাপাড়ার আমেনা বেগম, পানাইল করপাড়ার সুমি বিশ্বাস ও খুলনার কালিনগরের (স্বামীর বাড়ি) গুরুদাসী মণ্ডল।