![](https://media.priyo.com/img/500x/https%3A%2F%2Fimages.prothomalo.com%2Fprothomalo-bangla%252F2020-10%252F34a1ca18-987b-4031-87a1-629ccd32714a%252Feditorial.png%3Frect%3D0%252C114%252C1600%252C840%26overlay%3Dhttps%253A%252F%252Fimages.prothomalo.com%252Fprothomalo-bangla%252F2020-11%252F54141ce1-65f9-4c75-b13f-9fdce8bbd3dc%252Ffacebook_post_banner__1_.jpg%26overlay_position%3Dbottom%26overlay_opacity%3D1%26w%3D1200%26h%3D627%26auto%3Dformat%252Ccompress%26ogImage%3Dtrue%26overlay_width_pct%3D1)
একাত্তরের কথা নামে সিলেট থেকে প্রকাশিত এক দৈনিক সংবাদপত্রের মুদ্রিত ও অনলাইন সংস্করণে সিলেট সিটি করপোরেশনের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছালেহ আহমদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর তিনি ওই সংবাদপত্রের প্রকাশক, সম্পাদক, প্রতিবেদকসহ ১৮ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ ধারায় মামলা করেছেন। বহু নিন্দিত আইনটির অপব্যবহারের মাধ্যমে সাংবাদিকদের হয়রানি করার সর্বসাম্প্রতিক এ দৃষ্টান্তের প্রতি আমরা সরকারের নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।
পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো বাংলাদেশেও একটা সময় ছিল, যখন সংবাদপত্রে প্রকাশিত কোনো প্রতিবেদন বা লেখায় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সংক্ষুব্ধ হলে ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান প্রতিকার চাইতে প্রথমে ওই সংবাদপত্রে একটি প্রতিবাদপত্র পাঠাত, সরাসরি মামলা করতে থানায় বা আদালতে ছুটত না। তাদের প্রতিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্র যে প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ নিত, সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাতে সন্তুষ্ট না হলে তাদের প্রেস কাউন্সিলে যাওয়ার সুযোগ ছিল। প্রেস কাউন্সিল উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে, প্রকাশিত প্রতিবেদন বা লেখা এবং তার প্রতিবাদপত্র পর্যালোচনা করে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাত। কাউন্সিল-সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্রকে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বক্তব্য প্রকাশ করার আদেশ দিত, ভুলভ্রান্তি হয়ে থাকলে সতর্ক করত, এমনকি ভর্ৎসনা করারও নিয়ম ছিল।