
পড়তে পারেন একজন চিত্রশিল্পীর কবিতার বই
একজন কবি অন্তরের সব বেদনার কথা কি বলতে পারেন কবিতায়? অথবা একজন চিত্রশিল্পী কি রংতুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তুলতে পারেন হৃদয়ের সব দাগ? পারেন না দেখেই হয়তো কবি কখনো সংগীতে মজেন, কবিতায় আশ্রয় খোঁজেন চিত্রশিল্পী।
সোজা কথায়, শিল্পী সব সময় নিজের মাধ্যমে সবকিছু বলে তৃপ্ত হন না। চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীও হননি। রংতুলির সমান্তরালে তিনি হাতে তুলে নিয়েছিলেন কলম, লিখেছিলেন কবিতা।
জীবনের শেষ দশকে কবিতার জোয়ার এসেছিল কাইয়ুম চৌধুরীর। তাঁর আকস্মিক তিরোধানের পর দুই শতাধিক কবিতার খোঁজ পাওয়া গেছে। তাঁর স্বজনদের ধারণা, এই হিসাবও পূর্ণাঙ্গ নয়। এসব কবিতায় ফুটে উঠেছে নদীমাতৃক বাংলার রূপ আর সরল মানুষের সংগ্রামী জীবন। উঠে এসেছে বিদেশের বর্ণিল চিত্র। কখনো ব্যক্তিজীবনের দ্বন্দ্ব-সংঘাত, গভীর আন্তরিক আবেগের স্ফুরণও ঘটেছে। তাঁর কবিতার বৈচিত্র্যময় ভান্ডারের অংশবিশেষ নিয়ে ২০১৬ সালের বইমেলায় প্রথমা প্রকাশন বের করেছিল কবিতার বই ‘হাতের ছোঁয়ায় রোদের শিহরণ’।