![](https://media.priyo.com/img/500x/https%3A%2F%2Fimages.prothomalo.com%2Fprothomalo-bangla%252F2020-11%252Fadaa9d12-9e5a-4e12-809b-02ca61ee4d67%252FMaradona_3.jpg%3Frect%3D0%252C0%252C1600%252C840%26overlay%3Dprothomalo-bangla%252F2020-11%252F54141ce1-65f9-4c75-b13f-9fdce8bbd3dc%252Ffacebook_post_banner__1_.jpg%26overlay_position%3Dbottom%26overlay_opacity%3D1%26overlay_width%3D100%26w%3D1200%26h%3D627%26auto%3Dformat%252Ccompress%26ogImage%3Dtrue)
ফুটবল নিয়ে ঘুমাত যে ছেলেটা
১৯৬৩ সালের ৩০ অক্টোবর। ডিয়েগো ম্যারাডোনা সিনিয়রের পরিবারে খুশির দিন, পরিবারের একমাত্র ছেলের তিন বছর পূর্ণ হলো যে। ছেলের নামটা নিজের নামের সঙ্গে মিলিয়েই রাখা, ডিয়েগো ম্যারাডোনা। কিন্তু খুশির দিনে তেমন আয়োজন নেই। কোনো রকমে সংসার চালানো বাবা ডিয়েগোর সামর্থ্য হয়নি জাঁকজমক আয়োজন করার। তবু ভিলা ফিওরিতো শহরে তাঁদের ছোট্ট ঘরে দাওয়াত দিয়েছেন নিকটাত্মীয়দের। সেদিন কাজিনের কাছ থেকে উপহার হিসেবে প্রথম ফুটবল পেলেন ছোট্ট ম্যারাডোনা।
তারপর তাঁকে পায় কে! আনন্দে সারা দিন কাটে ফুটবলের সঙ্গে। ফুটবল দিয়ে খেলা, ফুটবল নিয়ে খেতে বসা, এমনকি ফুটবল সঙ্গে নিয়ে ঘুমানোও। কোনোভাবেই ফুটবলের সঙ্গ ছাড়েন না। তাঁর ভয়, হাতছাড়া করলে যদি কেউ ফুটবলটা নিয়ে যায় কিংবা চুরি হয়ে যায়! প্রথম প্রথম মা দোনা তোতা তেমন গা করেননি। কিন্তু ধীরে ধীরে তিনিও বিরক্ত হন। ছেলের পড়াশোনার দিকে ঝোঁক নেই, সারা দিন খালি ফুটবল আর ফুটবল! কোনোভাবেই তাঁকে পড়তে বসানো যায় না। ফুটবলটা কয়েকবার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টাও করলেন। কিন্তু ম্যারাডোনার কাছ থেকে ফুটবল কেড়ে নেওয়া কি এতই সহজ?