নগরোটায় নিহত জইশ জঙ্গিরা কাশ্মীরে ঢুকেছিল মাসুদ আজহারের ভাইয়ের নির্দেশেই: রিপোর্ট
জম্মুর নগরোটার কাছে বান টোল প্লাজার সামনে এনকাউন্টারে নিহত জইশ জঙ্গিদের সঙ্গে মাসুদ আজহারের ভাইয়ের যোগাযোগ ছিল। প্রথমিক তদন্তের পর এমনটাই দাবি করা হয়েছে। নিহতদের মোবাইল ফোন ও জিপিএস ঘেঁটে এ বিষয়ে তদন্তকারীরা নিশ্চিত হয়েছেন। সূত্রের খবর, জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammed)-এর অপারেশনাল কম্যান্ডার মুফতি রউফ আসগর ( Mufti Rauf Asghar) ও কারি জারার (Qari Zarar)-এর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছিল ওই জঙ্গিরা। মুফতি আসগর হল জইশ প্রধান, রাষ্ট্রপুঞ্জের তালিকাভুক্ত আন্তর্জাতিক জঙ্গি মাসুদ আজহারের ছোট ভাই। ২৬/১১-য় কাশ্মীরে আরও একটি জঙ্গি হামলার লক্ষ্যেই এই চার জনকে পাঠানো হয়েছিল। মুফতি আসগরের নির্দেশ পালন করতেই জইশ জঙ্গিরা ঢুকেছিল।
শুক্রবার ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও (Narendra Modi) দাবি করেন, জম্মুর নগরোটায় নিহত জঙ্গিরা বড় নাশকতার উদ্দেশ্য নিয়েই ভারতে ঢুকেছিল। তিনি জানান, বড় নাশকতা ঘটিয়ে জম্মু-কাশ্মীরে নির্বাচন ভণ্ডল করে, দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার 'তৃণমূল স্তর'-এ জঙ্গিরা আঘাত করতে চেয়েছিল। বৃহস্পতিবার একদম ভোরে জম্মু নগরোটায় সুরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে নিহত হয় চার সশস্ত্র জঙ্গি। জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়ে ধরে একটি ট্রাকে চেপে কাশ্মীরে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান থেকে আসা ওই জঙ্গিরা। কিন্তু, তার অনেক আগেই নগরোটা টোল প্লাজার সামনে ট্রাকটি তল্লাশির মুখে পড়লে, ওই জঙ্গিরা গুলি ছোড়ে। দুই পুলিশ কর্মী গুলিবিদ্ধও হন। এর পরেই সুরক্ষা বাহিনী ট্রাকটিকে চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলে। তিন ঘণ্টা ধরে গুলির লড়াই চলার পর ( encounter on the Jammu-Srinagar national highway) অনুপ্রবেশকারী চার জঙ্গি খতম হয়।