
উৎসে কপাট এঁটে করোতোয়া-বাঙ্গালী নদী খননে পাঁচ হাজার কোটি টাকা
করতোয়া, বাঙ্গালী, ইছামতি, মানাস ও নাগর নদী মরতে বসেছে। এক সময় বড় বড় নৌকা, স্টিমার চলা এসব স্রোতস্বিনীতে এখন স্রোত নাই। স্থানীয়দের আক্ষেপ, দূষণে নদীগুলোয় আর ‘শেওলাও জন্মে না।’ নদীর প্রাণ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এরই মধ্যে পাঁচ হাজার কোটি টাকার মতো ব্যয়ে বেশ কয়েকটি খনন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন নদীর উৎসের গেইট আটকে রেখে খনন করে কোনো লাভ হবে না।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, করতোয়া, বাঙ্গালী, ইছামতি, নগর নদীর পানির উৎস তিস্তা নদী। সেই ‘তিস্তাতেই পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় এসব নদীও স্রোতহীন হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, তারপরও পানি প্রবাহ এবং পানি সংরক্ষণের জন্য কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। নদীর গতিপথ সচল করার এবং শুষ্ক মৌসুমে পানি ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে করতোয়া নদী খননের জন্য দুই হাজার ৬৬৫ কোটি টাকা এবং বাঙ্গালী নদীর তীর সংরক্ষণ এবং খননের জন্য আরো দুই হাজার ৩৫৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
এছাড়াও মানাসের গতিপথ সচল করার জন্য সারিয়াকান্দির কামালপুরে যেখানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করে প্রবাহ বন্ধ করা হয়েছিল। সেখানে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে স্লুইচ গেইট নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
“গেইটটি হলে এক দিকে মানাস নদী নাব্যতা ফিরে পাবে, অপরদিকে সেই স্রোতধারা ইছামতি এবং বাঙ্গালী নদী দুইটিকে সচল করবে।”