কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বাবুনগরীকে আমীর করার প্রস্তাবে ভাণ্ডারীকে কটাক্ষ করলেন নদভী

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

বর্তমান মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীকে হেফাজতে ইসলামের আমীর বানানোর প্রস্তাব দেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির এমপি সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী। এরপর এ নিয়ে ফেসবুক লাইভে এসে ভাণ্ডারীকে কটাক্ষ করে তুলোধুনো করলেন সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার এমপি ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী।তিনি রোববার দিনগত রাত ১১টার পর নিজের ফেসবুক পেইজের লাইভে এসে নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীকে কটাক্ষ করে হেফাজতের আমীর হওয়ার জন্য বলেন। নদভী বলেন, কওমিদের সঙ্গে যদি বেশি মহব্বত রাখেন তাহলে আপনি হেফাজতের আমীর হয়ে গেলে বেশি ভালো হয়। এর আগে গত রোববার বিকালে ফটিকছড়ির নাজিরহাটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, এমপি হেফাজতের আমীর হিসেবে বর্তমান মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীর নাম প্রস্তাব প্রসঙ্গে নদভী বলেন, বলা হচ্ছে তিনি জামায়াত করেন না। আমি উনাকে জামায়াত করেন কখনো বলিনি। কিন্তু আল্লামা আহমদ শফী সাহেবের জানাজায় খাটিয়া কারা নিয়েছেন, কীভাবে নিয়েছেন, কার নির্দেশে নিয়েছেন- এগুলো সব আমরা জানি। এসব আলামত কী বোঝায় আপনারা ভালোভাবে জানেন। নদভী বলেন, দেওবন্দ তরিকার আলেমরা নিজেরাই শুদ্ধ, নেককার, আল্লাহওয়ালা। তাদের মূল্যায়ন বা সত্যায়িত বা সার্টিফাই করতে অন্য মানুষ দরকার নেই। আপনার মতো ব্যক্তির বলার দরকার নেই যে, দেওবন্দ তরিকার অমুক অনেক বড়। আল্লাহতায়ালার কাছে উনারা অনেক বড়। যারা বেদাত করে, শিরক করে তাদের সঙ্গে আমাদের আকিদার দিক দিয়ে কোনো মিল নেই।নদভী বলেন, আপনি তরিকত ফেডারেশন। আমি নৌকার এমপি, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি। আপনি আল্লামা শফী সাহেবকে সংসদে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেছেন। চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলেন বাহাস করবেন। সংসদে আপনার পরপরই আমি বক্তৃতা দিয়েছি। আল্লামা শফী যে একজন শায়খুল ইসলাম, পুরো পৃথিবীর বড় মাপের আলেম হযরত মওলানা হোছাইন আহমদ মাদানীর খলিফা ও সাগরেদ সেই আল্লামা শফী সাহেবের ব্যাপারে অশ্লীল ভাষায় কথা বলা কোনো সময় কাম্য নয়।নদভী আরো বলেন, আল্লামা শফীকে গালি দেয়া মানে মওলানা হোছাইন আহমদ মাদানীকে গালি দেয়া। আপনাদের এটা জানা দরকার, ভারতবর্ষকে ইংরেজ থেকে মুক্ত করার জন্য সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছেন মুসলমানরা। মুসলমানদের মধ্যে সব থেকে বেশি ভূমিকা রেখেছেন আলেম-ওলেমারা। ওইসব আলেম- ওলেমা কারা? আকায়েদে দেওবন্দ (দেওবন্দের অনুসারীরা), মুহাম্মদ কাসেম নানুতুবি, মাওলানা রশিদ আহমেদ গাঙ্গোহি, মাহমুদুল হাসান দেওবন্দি, হোছাইন আহমদ মাদানী- তাদের নেতৃত্বে ভারতবর্ষ স্বাধীন হয়েছে। উনাদের ব্যাপারে কথা বলা, উনাদের সমালোচনা করাটা কাম্য নয়। এমপি নদভী বলেন, বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় ৪৮৭টি উপজেলায় আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের মসজিদ রয়েছে, মাদ্রাসা রয়েছে, টিউবওয়েল রয়েছে, পল্লী রয়েছে, ওআইসি পল্লী রয়েছে, কাতার পল্লী রয়েছে, আরব আমিরাত পল্লী রয়েছে- বিভিন্ন ধরনের পল্লী রয়েছে। এগুলো দেখাশোনা করার জন্য আমি বাংলাদেশের সব জায়গায় যাবো। আমি টুঙ্গিপাড়া এবং কোটালিপাড়ায়ও যাই। আমাকে তো কেউ নিষেধ করে না। সব জায়গায় আমাকে রিসেপশন দেয়। সুন্দরভাবে রিসিভ করে আমাকে। ওসব প্রজেক্ট দেখার জন্য আমাকে যেতেই হবে। আমি ফটিকছড়িতেও এক হাজার বার যাবো। ফটিকছড়িতে আমার ১২-১৪টি মসজিদ আছে।নাজিরহাট বড় মাদ্রাসাসহ ফটিকছড়ি-নাজিরহাট এলাকার কওমি মাদ্রাসাগুলোতে বেশ কয়েকবার ৫০ হাজার ডলারের চেক এবং বিদেশি মেহমান নিয়ে গিয়েছি। মাদ্রাসাগুলোতে বিদেশি সাহায্য বন্ধ হয়ে গেলে চিঠি দিয়ে সাহায্য চালু করেছি। এসব মাদ্রাসার সঙ্গে আমার সমপর্ক এভাবে হয়েছে। এসব মাদ্রাসায় তাফসীর, সুন্নাহ, ফিকাহ, ইসলামের ইতিহাস ও আদবে আরবির উপর লেকচার দেয়ার কথা। আমি লেকচার দিতে থাকবো, সাহায্যও করতে থাকবো দেওবন্দের মাদ্রাসাগুলোতে। কেউ আমাকে নিষেধ করতে পারবে না, আপনিও (ভাণ্ডারী) নিষেধ করতে পারবেন না। লাইভের শেষে তিনি দেওবন্দের অনুসারী আলেমদেরকে সহিহ আকিদায় অটল থাকার আহ্বান জানান। এ ছাড়া তিনি কওমি মাদ্রাসার সনদের সরকারি স্বীকৃতি, দেশব্যাপী ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ ও ইসলামী ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম আরো সমপ্রসারিত করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত