আর মাত্র নয়দিন পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ নির্বাচন । নির্বাচন এগিয়ে আসার সাথে সাথে স্পষ্ট হতে শুরু করেছে জয় পরাজয়ের চিত্র। এবারের নির্বাচনে পেনসেলভেনিয়া অঙ্গরাজ্য গুরত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। এ রাজ্য হয়তোবা নির্ধারণ করবে যুক্তরাষ্ট্রের ভাবী প্রেসিডেন্ট কে হবেন ডনাল্ড ট্রাম্প না জোসেফ বাইডেন। নির্বাচনী ইতিহাসবেত্তা থেকে পর্যবেক্ষক সকলেই মনে করছেন যেই নির্বাচিত হন না কেন নানা কারণে পেনসেলভেনিয়ার বিরাট নিয়ামক ভূমিকা থাকবে এবার। তাই এসব জেনে বুঝেই রিপাবলিকান শিবির নির্বাচনী কৌশল প্রণয়ন করেছে। বসে নেই ডেমোক্রেটরা, তারাও অংক কষেই সর্তক পদক্ষেপে সামনে এগুচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে মূল ভোট যুদ্ধ হবে পেনসেলভেনিয়ায়। এমন কি আইনের মারপ্যাঁচে ফলাফল বিলম্বিত হতে পারে । রিপাবলিকান ক্যাম্পেইন পেনসেলভেনিয়ায় আগাম ভোটে ড্রপবক্সে যারা ব্যালট ড্রপ করছেন তাঁদের
ভিডিওচিত্র ধারণ করে রাখছে। ২০টি ইলেক্টোরাল ভোটের অধিকারী পেনসেলভেনিয়ার ভোটের রায়কে যেকোন ছুঁতোয় কোর্টের দোর গোড়ায় নিয়ে যেতে চেষ্টা করবেন তাঁরা।
এজন্য তড়িঘড়ি করে রিপাবলিকান শিবির নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে সুপ্রিমকোর্টে তাঁদের আরেকজন জজ বসাতে চলেছে। ডেমোক্রেটদের বয়কটের মধ্য দিয়ে রিপাবলিকানরা সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে এ্যামি কোনি ব্যারেটের মনোনয়ন নিশ্চত করেছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প টুইটারে উল্লাস প্রকাশ করেছেন তাঁর মনোনয়ন কনর্ফাম করায়।
এখন সুপ্রিমকোর্টে রক্ষনশীল বনাম উদার নৈতিক অনুপাত দাঁড়াবে ছয় ও তিন। বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি ও তাঁর দল নির্বাচনে জয়লাভ করলে সুপ্রিম কোর্টের পরিধি বৃদ্ধি করবেন কিনা এমন প্রশ্নে বাইডেন এবিসি নিউজকে বলেন, প্রয়োজন হলে নির্বাচিত হওয়ার ১৫০ দিনের মধ্যে এবিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিশন গঠন করতে পারেন তিনি। কমিশন এর প্রয়োজনীয়তা আছে কি- না পরীক্ষা করে দেখবে। নয় সদস্য বিশিষ্ট বর্তমান ইউএস সুপ্রিমকোর্টের সদস্য সংখ্যা কত হবে সংবিধানে এর কোন স্পষ্ট উল্লেখ নেই। ইউএস কংগ্রেসের এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
কংগ্রেসের নেয়া সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে শতাব্দী প্রাচীন নয় সদস্য বিশিষ্ট ইউএস সুপ্রিমকোর্টের কার্যক্রম চলে আসছে। উল্লেখ্য, ইউএস সুপ্রিমকোর্টের প্রত্যেকটি নিয়োগ আমৃত্যু পর্যন্ত হয়ে থাকে। প্রথাগত ডেমোক্রেট পেনসেলভেনিয়া ১৯৯২ থেকে ডেমোক্রেট প্রার্থীকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিয়ে এলেও ২০১৬ সালে প্রথা ভেঙে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পকে নির্বাচিত করে। এর আগে ১৯৮৮ সালে রিপাবলিকানরা পেনসেলভেনিয়ায় জয় পেয়েছিল। রিপাবলিকান সমর্থক হিসেবে পরিচিত ফক্স নিউজের জরিপে পেনসেলভেনিয়ায় ও উইসকনসিন রাজ্যে শতকরা ৫ শতাশ এবং মিশিগানে ১২ শতাংশে বাইডেন প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে। মিশিগানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শতকরা ৪০ বাইডেন ৫২ পেনসেলভেনিয়া ও উইসকনসিনে ট্রাম্প ৪৫ এবং বাইডেন ৫০ শতাংশে অগ্রগামী। প্রভাবশালী নিউজ উইক সাময়িকী জানিয়েছে, আজ( শুক্রবার) দুপুরে প্রকাশিত মুহলেনবার্গ কলেজ ও মনিং কল পোলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শতকরা ৭ শতাংশের ব্যবধানে বাইডেনের কাছে এই কি সুইং রাজ্যে হারতে বসেছেন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.