ধর্ষণ মামলার দ্রুত বিচার অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত
মোংলায় শিশু ধর্ষণের এক মামলায় চার্জ গঠনের পর ৭ কার্যদিবসের মধ্যে রায় ঘোষণা করেছেন বাগেরহাট জেলা ও দায়রা জন্য আদালত। মামলার আসামি আব্দুল মান্নান সরকারকে শিশু ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় ঘোষণা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মোহাম্মদ নূরে আলম। ধর্ষণের ঘটনা ঘটে ৩ অক্টোবর। ঘটনার রাতেই সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা ১১ অক্টোবর অভিযোগও দাখিল করেন। সব বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ১৯ অক্টোবর আদালত রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বাদীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
ধর্ষণ মামলার দ্রুত বিচার করে আদালত দেশে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। উক্ত মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন হওয়ার পেছনে পুলিশ সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। ঘটনা জানার পরপরই আসামিকে গ্রেফতার করেছে। ভিকটিমে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে দ্রুত। তদন্ত কর্মকর্তা দ্রুততম সময়ে তদন্ত করে অভিযোগ দাখিল করেছেন। আদালত কালক্ষেপণ না করে চার্জ গঠন করেছেন। সাক্ষীদের যথাসময়ে আদালতে হাজির করার ফলে সাক্ষ্য-প্রমাণ সম্পন্ন হতে ন্যূনতম সময় লেগেছে। অপরাধ প্রমাণের পর আদালত রায় দিতে দেরি করেননি। আদালত, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আইনজীবী সংশ্লিষ্ট সবাই আন্তরিক হয়ে কাজ করলে যে দ্রুত বিচার করা সম্ভব সেটার উদাহরণ বাগেরহাটের ঘটনা। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ১৮০ দিনের মধ্যে মামলার বিচারকাজ সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে। তার অনেক আগেই ট্রাইব্যুনাল রায় দিয়েছেন।
- ট্যাগ:
- মতামত
- ধর্ষণ মামলা
- শিশু ধর্ষণ
- দ্রুত বিচার