সত্যি-মিথ্যের দোলাচলে কোনটা 'শিরোনাম'? প্রথম ছবিতেই নজর কাড়লেন পরিচালক
কোন খবরটা সত্যি? যেটা দেখছি যেটা জানানো হচ্ছে সেটা, নাকি আসলে একদমই আলাদা কিছু যেটা ঘটেছে সেইটা? সবটাই তো আসলে কী ভাবে উপস্থাপনা করা হচ্ছে সেই দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভরশীল। ঠিক যেভাবে 'শিরোনাম' ছবিটির সব থেকে বড় দিক খবর প্রকাশের ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকার বিষয়টি।
ছবিতে দুর্গম এলাকায় খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে ফটো জার্নালিস্ট অভিন রায়ের (যিশু সেনগুপ্ত) নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনাটিকে তারই নিউজ চ্যানেলের এগজিকিউটিভ এডিটর রজত (অঞ্জন দত্ত) যেভাবে অপহরণের মুখরোচক মোড়কে সাজিয়ে পরিবেশন করার নির্দেশ দেন এবং পাশাপাশি অন্যান্য নিউজ চ্যানেলগুলিও পাল্লা দিয়ে খবরটিকে আরও কাটাছেঁড়া করার লড়াইয়ে নেমে পড়ে, তাতে কিন্তু কোথাও মানবতাবোধ বা দায়িত্বশীলতার লেশমাত্র থাকে না। সেটা হয়ে ওঠে মানুষের সেন্টিমেন্ট এবং সিমপ্যাথি আদায় করে ব্রেকিং নিউজের বাজারে নিজেদের দক্ষতা ও কার্যকরিতাকে লাইমলাইটে নিয়ে আসার নোংরা খেলা। যে প্রতিযোগিতার মাঝে চাপা পড়ে অভিনের স্ত্রী আনন্দীর (স্বস্তিকা মুখার্জী) আসল সত্যিটা জানতে চাওয়ার অধিকার। বিপর্যস্ত হয়ে যায় তার সামাজিক এবং ব্যক্তিগত জীবন।