![](https://media.priyo.com/img/500x/https%3A%2F%2Fimages.prothomalo.com%2Fprothomalo-bangla%252F2020-10%252Fd64b4420-3ec8-4488-8de9-1786278846c7%252F13a1811c-35fb-48be-8f75-55b98da437e4.jpg%3Frect%3D0%252C35%252C1800%252C945%26overlay%3D%26overlay_position%3Dbottom%26overlay_opacity%3D1%26overlay_width%3D100%26w%3D1200%26h%3D627%26auto%3Dformat%252Ccompress%26ogImage%3Dtrue)
তাহলে বাবরি মসজিদ কেউ ভাঙেনি?
এ ধরনের শিরোনাম বিভিন্ন ভাষায় প্রকাশিত সংবাদ এবং মতামতে বহুবার ব্যবহৃত হয়েছে। তবু আমি আবার এ শিরোনামই ব্যবহার করলাম। ৩০ সেপ্টেম্বর বুধবার লক্ষ্ণৌর সিবিআই বিশেষ আদালত বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মামলার রায় দিয়েছেন। মসজিদ ধ্বংসের অভিপ্রায়ে চক্রান্ত, পরিকল্পনা ও প্ররোচনার অভিযোগে ২৭ বছর আগে মামলা হয়েছিল বিজেপির কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতাসহ ৪৯ জনের বিরুদ্ধে। তাঁদের মধ্যে ১৭ জন আগেই মারা গেছেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি ৩২ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। খালাসপ্রাপ্তদের মধ্যে আছেন লালকৃষ্ণ আদভানি, মুরলি মনোহর যোশী, উমা ভারতী ও কল্যাণ সিংয়ের মতো নেতারা।
প্রতিষ্ঠান হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদও এর সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল না বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়। সিবিআইয়ের দেওয়া সাক্ষ্যপ্রমাণ অপরাধ প্রমাণের জন্য যথেষ্ট মনে করেননি আদালত। মসজিদ ধ্বংসের কারণ হিসেবে আদালত স্বতঃস্ফূর্ত জনরোষকে দায়ী করেছেন। আর যাঁরা এ কাজটা করেছেন, তাঁরা সমাজবিরোধী। অভিযুক্তরা তাঁদের বরং থামানোর চেষ্টা করছিলেন, আদালতও তা–ই মনে করেন।