চলন্ত ট্রেনের নিচে থেমে গেল ‘প্রিয়মুখ-সুরেলা’ আনিকার জীবন
মাত্র ১৮ বছরে পা দিয়েছিলেন আন্তারা মোকাররমা আনিকা। কলেজের গন্ডি পেরিয়ে কিশোরগঞ্জ শহরের মানুষের কাছে তার সুরেলা কণ্ঠের কদর পৌঁছেছিল। হয়ে উঠেছিলেন একজন প্রিয়মুখ। তারুণ্যে ঝলঝল করা আনিকা গানকেই জীবনের ভালোবাসা সব মনে করতেন। গান দিয়ে এগিয়ে চলার স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু তার ভালোবাসা, স্বপ্ন ও উজ্জ্বল শিল্পীসত্ত্বা চলন্ত ট্রেনের নিচে থেমেই গেল।
শুক্রবার ভোরে কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের উঠার সময় পা পিছনে পড়ে যান আনিকা। এতে ট্রেনের চাকায় পড়ে ছিন্নভিন্ন হয় তার দেহ। আনিকার মৃত্যুতে পরিবার, সহপাঠীসহ কিশোরগঞ্জ শহরের সংস্কৃতি অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আন্তারা মোকাররমা আনিকা গুরুদয়াল সরকারি কলেজ থেকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। সামাজিক, সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা হিসেবে তার পরিচিতি ছিল। কিশোরগঞ্জের গানের ভুবনে অল্প সময়েই বেশ সুনাম অর্জন করেছিলেন আনিকা। তিনি কণ্ঠশিল্পী হিসেবে শহরের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রিয়মুখও ছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছিলেন সরব। তিনি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের ইন্ট্রোতে লিখেছিলেন, ‘আমি গান গাইতে ভালোবাসি, গান দিয়ে জীবনের সব কষ্ট-দুঃখ ভুলতে চাই’।
নিহত আনিকা কিশোরগঞ্জ শহরের খরমপট্টির এলাকার একটি ভাড়া বাসায় বাবা মোজাম্মেল হোসেনের সঙ্গে বসবাস করতেন।