কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

হলফনামায় যা বলেছেন দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী

মানবজমিন প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার পর জেলাজুড়ে আলোচনায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন। ২০শে অক্টোবরের নির্বাচনকে ঘিরে ধীরে ধীরে সক্রিয় হচ্ছেন ভোটাররাও। ভোটার (নির্বাচকমণ্ডলী) ছাড়াও জেলার সর্বস্তরের নাগরিকরা দুই প্রার্থীর পক্ষে বিপক্ষে চালাচ্ছেন চুলচেরা বিশ্লেষণ। আলোচনায় প্রাধান্য পাচ্ছে দুই প্রার্থীর সার্বিক কর্মকাণ্ড ও হলফনামা। মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে দুই প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। হলফনামায় মিলেছে দুই প্রার্থীর অজানা সব তথ্য। মিছবাহুর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি। অপর (স্বতন্ত্র) প্রার্থী যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আব্দুল রহিম শহিদ। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এম.কম। মিছবাহুর রহমানের বিরুদ্ধে বন আদালতের মামলা বিচারাধীন। অতীতে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না বলে হলফনামায় উল্লেখ করা আছে। তিনি ইট প্রস্তুত ও বিক্রয় প্রতিষ্ঠান মেসার্স যমুনা ব্রিকস ও মিছবাহুর রহমান নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক। প্রতি বছর কৃষিখাত থেকে ২২ হাজার ৭৮০ টাকা ও ব্যবসা থেকে ৮ লাখ ৭৬ হাজার ৫৫৪ টাকা আয় করেন। তবে তার ওপর নির্ভরশীল কোনো ব্যক্তির কোনো আয় হলফনামায় দেখানো হয়নি। এম. এ রহিম বর্তমানে কোনো ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত নয়। তবে অতীতে তার বিরুদ্ধে দুইটি মামলা দায়ের হয়েছিলো যেগুলো আদালতে নিষ্পত্তি হয়েছে। তিনি প্রপার্টি ডেভেলপার ব্যবসায় যুক্ত। বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট ও দোকান ভাড়া বাবদ তার বাৎসরিক আয় ৪ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮০ টাকা ও ব্যাংক মুনাফা থেকে আয় করেন ৮ হাজার ৮২ টাকা। মিছবাহুর রহমানের অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ ১০ হাজার টাকা, ব্যাংকে তার নামে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা, স্ত্রীর নামে ১০ লাখ টাকা জমা রয়েছে। আর তার নিজের হোন্ডা সি.আর.ডি মডেলের প্রায় ৭ লাখ টাকা দামের গাড়ি রয়েছে। তার স্ত্রীর ২০ ভরি স্বর্ণ রয়েছে। ১ লাখ টাকার ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী রয়েছে। তার ১০ হাজার টাকার আসবাবপত্র ও তার স্ত্রীর ২ লাখ টাকার আসবাবপত্র রয়েছে। এম. এ রহিম এর অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ ৮ লাখ টাকা, ২১০ ইউকে পাউন্ড, ব্যাংকে ১ কোটি ৯৬ লাখ ৭৬ হাজার ৯৫০ টাকা, এমআর এগ্রোতে ৬৫ লাখ ৯০ হাজার টাকার ও লন্ডন বাংলা কোং এ ৫ লাখ টাকার শেয়ার রয়েছে। একটি প্রাডো জিপ ও নিজের ৩০ তোলা স্বর্ণ রয়েছে। ৫ লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী, ১০ লাখ টাকার আসবাবপত্র ও অন্যান্য আরো ৫ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। স্থাবর সম্পদের মধ্যে মিছবাহুর রহমান পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত ২.৩৭২৯৬ একর কৃষি জমি, ১.৩২১০২ একর অকৃষি জমি, দ্বিতল আবাসিক ভবন ও ২২.৬৮ ডেসিমেলের বাড়ির মালিক। দায় দেনার মধ্যে আত্মীয়স্বজন থেকে নগদে ৯০ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন। এম.এ রহিমের স্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজের নামে ২১.০৭০ একর, স্ত্রীর নামে ১.৯৩ একর, নির্ভরশীলদের নামে ৬.০৫ একর, যৌথ মালিকানায় ১০ একর কৃষি জমি রয়েছে। অকৃষি জমি নিজের নামে ০.৬৮৪৬ একর ও যৌথ মালিকানার ৩.০০ একর রয়েছে। এম.আর টাওয়ার-১ ও এম.আর.টাওয়ার-২ নামের দুইটি দালান নিজের নামে রয়েছে। এ ছাড়া নিজের একটি এপার্টমেন্ট ও যৌথ মালিকানার ৪টি দালান আছে। দায় দেনার মধ্যে প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড মৌলভীবাজার শাখায় ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৯ হাজার ৫০১ টাকা দেনা আছে। জেলা নির্বাচন অফিসের তথ্যানুযায়ী আগামী ৩রা অক্টোবর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ও প্রতীক বরাদ্দ। ভোটগ্রহণ ২০শে অক্টোবর। জেলার মোট ভোটকেন্দ্র ১৫টি। জেলার ৭টি উপজেলার ৬৭টি ইউনিয়ন, ৫টি পৌরসভা ও ৭টি উপজেলা মিলে ৯৪৪ জন ভোটার রয়েছেন। উল্লেখ্য, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান গত ১৮ই আগস্ট মৃত্যুবরণ করলে পদটি শূন্য হয়। অস্থায়ী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন প্যানেল চেয়ারম্যান তফাদার রেজুয়ানা। ১৪ই সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন ২০শে অক্টোবর উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত