তিন যুগ অন্যের রান্না ঘরে বসবাস শহীদের স্ত্রী বকুলের
১৯৭১ সালের পাক বাহিনীর গুলিতে শহীদ সুখুরঞ্জনের বৃদ্ধ স্ত্রী বকুল বালা দীর্ঘ তিন যুগ অন্যের রানা ঘরে বসবাস করে আসছেন। স্বামী হারা অসহায়-সম্বলহীন এই নারীর খোঁজ রাখেনি কেউ। দীর্ঘ দিনেও কোনো সরকারি অথবা দাতা সংস্থার সহযোগিতা পায়নি তিনি।
প্রতিবেশীর বাড়িতে ভিক্ষাবৃত্তি করে আজ বৃদ্ধের কোঠায় দাঁড়িয়েছে বকুল বালা। আবাসস্থল বিনা এই বৃদ্ধ পটুয়াখালী সদর উপজেলা মৌকরনের ললিত হাওলাদারের বোনের বাড়িতে থাকেন। বকুলের বোন দারিদ্র গোলাপিও বকুলকে নিয়ে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন।
বৃদ্ধ বকুল বালা ও তার বোন জানায়, বকুল বালার অসচ্ছল-দারিদ্র্য পিতা বিশ্বেশ্বর দেবনাথ তাকে মাত্র তেরো বছর বয়সেই বিয়ে দেন সুখুরঞ্জনের। আজ থেকে অন্তত ৫০ বছর পূর্বে পায়ে আলতা ও লাল বেনারসি পরে স্বামী সুখুরঞ্জনের ঘরে আসেন তিনি। স্বামী সুখুরঞ্জন পেশায় ছিলেন একজন মৌসুমি শ্রমিক। যখন যে কাজ পেতো তাই করে সংসার চালাতে হতে তাকে।