উৎপাদনেই যায়নি চিংড়ি খামার, বছরে দেয় লাখ টাকা লভ্যাংশ!
মাগুরায় ৭৮ লাখ টাকা ব্যয়ে চিংড়ি উৎপাদন খামার নির্মিত হলেও দু’ বছরেও তা চালু করা যায়নি। তবে চালু না থাকলেও নিয়মিত আসছে সরকারি বরাদ্দ। তারচেয়েও অবাক করা তথ্য হচ্ছ, চালু না করেই এই চিংড়ি উৎপাদন খামার থেকে লভ্যাংশ বাবদ দু’বছরে ২ লাখ ১শ’ টাকা সরকারি কোষাগারে জমাও হয়েছে। শুধু তাই নয়, গত দুই বছরে সেখানে দুই লাখ পিএল চিংড় পোনা উৎপাদনের পর চাষিদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে বলেও খাতা কলমে দেখানো হয়েছে।
স্বাদু পানির চিংড়ি চাষ সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় ২০১৮ সালে মাগুরায় চিংড়ি পোস্ট লার্ভা-পিএল উৎপাদনের জন্যে অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়। জেলা মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারের সীমানার মধ্যে ৪ হাজার বর্গফুট আয়তনের হ্যাচারিটি নির্মাণ করা হয়। যশোর জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মোস্তাক ছিলেন কাজটির ঠিকাদার। ওই বছরের জুনে অবকাঠামো নির্মাণ সম্পন্ন হয়। কিন্তু, সঠিকভাবে নির্মাণ না করায় ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় দুই বছরেও এটি চালু হয়নি। তবুও চালু না হলেও অদ্ভুতভাবেই আসছে সরকারি বরাদ্দ।
স্থানীয় কর্মকর্তাদের মতে, যেহেতু বরাদ্দ আসছে তাই বরাদ্দ ধরে রাখতে উৎপাদনও দেখাতেই হচ্ছে। যদিও এই উৎপাদন কাগজে-কলমে। বাস্তবে কিছুই নাই।