কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

আমাদের যুদ্ধ কঠিন শত্রুর বিরুদ্ধে

দৈনিক আজাদী প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১১:০৫

.tdi_2_801.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_2_801.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});দেশের দুর্দিনে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছি একজন সনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে। সামাজিক প্রতিকূলতা ডিঙ্গিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছি দেশের জন্য। যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনদিন বাজেনি জাতীয় সংগীতের সুর, সেখানে আমি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সমাবেশ ঘটিয়ে জাতীয় সংগীত গেয়েছি দৃঢ় কন্ঠে। কওমী মাদ্রাসার কচি কচি প্রাণে সঞ্চার করেছি সোনার বাংলার গান। আস্থা আর ভালোবাসা দিয়ে বুঝিয়েছি জঙ্গিবাদে না জড়ানোর শপথ বাক্য। তবে এবারের যুদ্ধ আরও কঠিন শত্রুর বিরুদ্ধে। সেই নীরব ঘাতক করোনা। গোপনে ছড়িয়ে পড়ে রোজ গিলছে মানুষ! অতি ছোঁয়াচে এই রোগের নাম শুনলেই যখন মানুষ পালিয়ে যাচ্ছে। তখন আমি নিজের রাজনৈতিক সহযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে চট্টগ্রামে গড়ে তুলেছি করোনা আইসোলেশন সেন্টার। আর করোনা সংক্রমণ রোধে শুরু থেকে মানুষকে সচেতন করার প্রচেষ্টা তো আছেই। দায়িত্ব পালন করছি চট্টগ্রাম নগরের হালিশহরে অবস্থিত চট্টগ্রাম আইসোলেশন সেন্টারের মুখপাত্র হিসেবে। এমন দুর্দিনে মানুষের সেবা দিতে ঘরে-বাইরে ছুটতে হয়েছে আমাকে। পশ্চাৎপদ সংস্কৃতি ছুড়ে ফেলে দিয়ে মাথায় পেতে নিয়েছি ঝুঁকি। করোনা ক্রান্তিকালে যখন করোনা কিংবা উপসর্গের রোগী থেকে দূরে পালিয়ে যাচ্ছে। এমন কি কোথাও কোথাও পরিবারের সদস্যরাও করছেন নিষ্ঠুর আচরণ। ঠিক সেই সময়ে আমি করোনা কিংবা উপসর্গের রোগী পেলে স্নেহ মমতা দিয়ে কাছে টেনে নিয়েছি পরিবারের মত করে। এসব করতে গিয়ে নিজের পরিবারকে সময় দেওয়া হচ্ছে না। তবে সব সময় সহযোগিতাও পেয়েছি পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে। গত কয়েক মাসে সহস্রাধিক মানুষকে খাদ্য ও অর্থ সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। করোনায় মৃতদের দাফনে এগিয়ে আসা গাউছিয়া কমিটিকে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফ্লোরিডার কাছ থেকে সংগ্রহ করে দিয়েছি অ্যাম্বুলেন্স। কয়েকজন তরুণকে সাথে নিয়ে গড়ে তোলা করোনা আইসোলেশন সেন্টার পরে রূপ নিয়েছে ট্রিটমেন্ট সেন্টারে। এর জন্য ফান্ড সংগ্রহ করা, ডাক্তার, নার্সদের বেতনের ব্যবস্থা করা, করোনার নমুনা সংগ্রহের বুথ স্থাপন, এক্স-রে মেশিন, সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম, হাই ফ্লো ন্যাজল ক্যানোলা যোগাড়ে সচেষ্ট ছিলাম। এই সেন্টারের প্রতি আস্থা রেখে সাড়ে পাঁচ শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে এসেছেন। মহামারী করোনাভাইরাস যখন দেশে প্রথম শনাক্ত হয় তখন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংকট মোকাবেলায় সবাইকে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক হয়ে তখন সেটা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেছি আমি। ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন কাজের পাশাপাশি আমরা কয়েকজন তরুণকে নিয়ে নিজেরাই গড়ে তুলি করোনা আইসোলেশন সেন্টার। এই মহামারি যেহেতু সরকারের একার পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না, তাই তরুণদের সাথে নিয়ে কাঁধে কাধ মিলিয়ে কাজ শুরু করি। চট্টগ্রামে করোনার প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীদের ভর্তি না নেওয়ার অভিযোগ ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। বেসরকারি হাসপাতালগুলো করোনা রোগী তো দূরের কথা সাধারণ শ্বাসকষ্টের রোগীকেও ভর্তি না নেওয়ায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ আসতো প্রতিদিনই। সামান্য অক্সিজেনের অভাবে রোগী মারা যাচ্ছিল। করোনা ছিল একটা আতঙ্ক। যখন করোনা হলেই সন্তান ছেড়ে মা-বাবা চলে যাচ্ছে, মা-বাবাকে সন্তান রেখে আসছে গভীর জঙ্গলে। নিজের মা-বাবার সৎকারে সন্তানরা এগিয়ে আসছে না, আত্মীয়-স্বজন ঘর থেকে বের করে দিচ্ছে করোনা হলে। এত এত অভিযোগ শুনে সম্পূর্ণ দেশপ্রেম থেকে, দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে আমরা এগিয়ে আসি। যখন আমরা প্রথম উদ্যোগটা নিই তখন চারদিকে ছিল শুধু অন্ধকার আর অন্ধকার। এই ক্ষেত্রে আমাদের কারো কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই। নিজেদের মনোবল শক্ত রেখে শূন্য থেকে আমরা শুরু করি। প্রথম দিকে এই আইসোলেশন সেন্টার খুব উন্নত ছিলো না। পরে সেবার মান বাড়াতে উদ্যোক্তাদের সকাল-সন্ধ্যা মিটিং করি। প্রতিদিনই নিত্য নতুন সমস্যা সামনে আসে। তবে সব বাধা মোকাবেলা করে ধীরে ধীরে বেড়েছে এই আইসোলেশন সেন্টারের সেবার মান ও সুযোগ সুবিধা। এতে চট্টগ্রামের বিত্তশালীদের সম্পৃক্ত করি। আমরা মনে করি এই বৈশ্বিক মহামারি মোকাবেলায় তরুণদেরই এগিয়ে আসা উচিৎ। আমরাই প্রথম বাংলাদেশে বেসরকারি পর্যায়ে ১০০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার করেছি। পর্যায়ক্রমে এটা ট্রিটমেন্ট সেন্টারে রূপান্তরিত হয়েছে। প্রতিদিনই অসংখ্য রোগী ইনডোর, আউটডোরে সেবা নিচ্ছে। এটা আমাদের জন্য একটা বড় অর্জন।লেখক : আইনজীবী, মুখপাত্র, চট্টগ্রাম আইসোলেশন সেন্টার.tdi_3_098.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_3_098.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত