![](https://media.priyo.com/img/500x/https%3A%2F%2Fimages.prothomalo.com%2Fprothomalo-bangla%252F2020-09%252F4c22a5d2-dc1d-483a-87c6-267478272aa1%252FHaruki_Murakami.jpg%3Frect%3D0%252C74%252C4200%252C2205%26overlay%3D%26overlay_position%3Dbottom%26overlay_opacity%3D1%26overlay_width%3D100%26w%3D1200%26h%3D627%26auto%3Dformat%252Ccompress%26ogImage%3Dtrue)
আমি বরাবরই ডিমের পক্ষে
আমি আজ জেরুজালেম এসেছি ঔপন্যাসিক পরিচয়ে। একজন ঔপন্যাসিক গল্প বানান আর এটা করতে গিয়ে তিনি ক্রমাগত মিথ্যার চরকা কাটেন।
তবে কি ঔপন্যাসিক একাই কেবল মিথ্যা বলেন? সে রকম মোটেই নয়। রাজনীতিবিদেরা এ ব্যাপারে বেশ পারদর্শী, এটা আমরা মোটামুটি সবাই জানি। কূটনীতিবিদ ও সামরিক বাহিনীর লোকদেরও মাঝেমধ্যে মিথ্যা কথা বলতে হয়। তাঁরা সেটা তাঁদের নিজস্ব পদ্ধতিতে বলে থাকেন।
মনে করে নিই, একজন লোক পুরোনো গাড়ি বিক্রি করেন। তিনি যদি মিথ্যা বলা বন্ধ করে দেন, তবে তাঁর ব্যবসায় লালবাতি জ্বলে যাবে। একইভাবে একজন কসাই কিংবা আবাসন ব্যবসায়ী—সবাই কিছু না কিছু মিথ্যা বলেন। তবে একজন ঔপন্যাসিকের বলা মিথ্যাগুলো বাকি সবার থেকে আলাদা। কারণ, অন্য পেশার মানুষ মিথ্যা বললে তাঁকে অসৎ লোক বলা হয়। অথচ একজন ঔপন্যাসিকের সে রকম কোনো অসুবিধা নেই। বরং তাঁর মিথ্যাগুলো যত বড় হয় এবং সেগুলো বলতে তিনি যত বেশি কৌশলের আশ্রয় নেন, যত নিখুঁতভাবে বলতে পারেন, সাধারণ মানুষ ও সমালোচক তাঁর তত বেশি প্রশংসা করেন—এ রকম কেন হয়?