কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

প্রস্তাবিত অটোমোবাইল শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা পুনর্মূল্যায়নের দাবি

দৈনিক আজাদী প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১০:৪৯

.tdi_2_fda.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_2_fda.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});প্রস্তাবিত অটোমোবাইল শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা-২০২০ দেশের বিদ্যমান শিল্পনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)। শনিবার দুপুরে রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের প্রেসিডেন্ট আবদুল হক। এ সময় তিনি বিষয়টি পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে অটোমোবাইল শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা-২০২০ এর বিভিন্ন দুর্বলতা তুলে ধরে বলা হয়, সরকারের নেয়া উদ্যোগে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ মোটরকার বা বাংলাদেশ ‘ন্যাশনাল কার’ গর্বের হলেও যে কোনো শিল্প স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণের আগে সংশ্লিষ্ট খাতে বিদ্যমান শিল্পগুলোর অবস্থান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা এবং বাস্তবতাকে আমলে নেয়া জরুরি। প্রস্তাবিত নীতিমালায় বিষয়গুলো গুরুত্বসহ বিবেচনা করা হয়নি। বারভিডা নেতৃবৃন্দ নীতিমালাটি চূড়ান্ত করার আগে আন্তর্জাতিক মানের ও স্বাধীন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আবারও তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখার আহ্বান জানায়। লিখিত বক্তব্যে আবদুল হক বলেন, ভালো মানের গাড়ি আমদানি উৎসাহিত করতে বাংলাদেশের উচিত হবে নতুন গাড়ির ক্ষেত্রে ন্যূনতম ইউরো ৫ নির্গমন মানদণ্ড নির্ধারণ করা এবং আমদানিকৃত সিবিইউএস এবং রিকন্ডিশন্ড গাড়ির ক্ষেত্রেও তা প্রয়োগ করা। বর্তমানে বিশ্বের বেশির ভাগ দেশই পরিবেশ দূষণ করে এমন কমবাশন ইঞ্জিন বিশিষ্ট মোটর গাড়ি নিষিদ্ধ করছে এবং ২০৪০ সালে মধ্যে কার্বন নির্গমন মুক্ত বৈদ্যুতিক বা সোলার কার তৈরির পরিকল্পনা করছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো যখন পুরনো প্রযুক্তিকে বিদায় জানাচ্ছে তখন বাংলাদেশে কমবাশিবল ইঞ্জিন বিশিষ্ট গাড়ি তৈরির কারখানা স্থাপন কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। বরং বাংলাদেশকে আঞ্চলিক ও বিশ্ব বাজারের রপ্তানির লক্ষ্য নির্ধারণ করে ইমিশন কন্ট্রোল স্ট্যান্ডার্ডস মেনে নতুন প্রজন্মের গাড়ি নির্মাণ শিল্প স্থাপন করার পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি বলেন, প্রায় ৯০০ সদস্যের জাতীয় ভিত্তিক বাণিজ্য সংগঠন বারভিডার দেশে কয়েক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ রয়েছে এবং অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে লক্ষাধিক লোক কর্মরত রয়েছেন। বারভিডা মানসম্পন্ন ও পরিবেশবান্ধব রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি করে থাকে। প্রস্তাবিত নীতিমালায় আমদানিকারকদের মধ্যে প্রতিযোগিতাকে নিঃশেষ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। নীতিমালাটি দেশীয় গাড়ি নির্মাণের নামে একটি বড় রকমের স্ক্রু ড্রাইভিং শিল্প প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ বলে মন্তব্য করে আবদুল হক বলেন, এর মাধ্যমে ক্রেতাদের উচ্চমূল্য দিয়ে নিম্নমানের গাড়ি কিনতে বাধ্য করা হবে, যেসব গাড়ি পরিবেশবান্ধব নয়। তিনি বলেন, দেশের মোটরযান বাণিজ্য খাতে ৪০ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে খসড়া নীতিমালাটি চূড়ান্তকরণ এবং বাস্তবায়নে যথাযথ ভূমিকা রাখতে চাই। নীতিমালাটি যেন পরিবর্তিত পরিস্থিতি ও চাহিদার সঙ্গে খাপ খাইয়ে তৈরি করা হয়। যেখানে লক্ষ্য হবে ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষা করে কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ নিশ্চিত রেখে একটি প্রতিযোগিতামূলক ও টেকসই গাড়ি শিল্প প্রতিষ্ঠা করা। অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল মো. শহীদুল ইসলাম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বারভিডার সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. হাবিব উল্লাহ ডন ও মো. আব্দুল হামিদ শরীফ, ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম সম্রাট এবং কার্যনির্বাহী সদস্য আবু হোসেন ভূঁইয়া, ইউনূছ আলী প্রমুখ।.tdi_3_dad.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_3_dad.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে