কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

প্রতারণার অস্ত্র যখন বিয়ে

দৈনিক আজাদী প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৮:৪৭

.tdi_2_6cf.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_2_6cf.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});জীবিকার সন্ধানে ১৭ বছর বয়সে বরগুনা থেকে চট্টগ্রামে আসেন সুলায়মান। ৮ হাজার টাকা বেতনে কাজ নেন নগরীর একটি গার্মেন্টসে। এতেই সন্তুষ্ট ছিলেন না তিনি। ২০ বছর বয়সে মাথায় তার অদ্ভুত এক ভাবনার উদয় হয়। ফেসবুকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন কর্মকর্তার মাথা কেটে এডিটিংয়ের মাধ্যমে নিজের মাথা জুড়ে দিতেন। এরপর টার্গেট করা অল্প বয়সী মেয়েদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলতেন ফেসবুকে। কথা চলত মোবাইল ফোনে। সম্পর্ক গড়ে তোলা মেয়েটিকে বিয়ে করতেন। বিয়ের সময় নিতেন যৌতুক। বিয়ের পর স্ত্রীর ভাই, আত্মীয়-স্বজনকে চাকরি দেওয়ার নামেও হাতিয়ে নিতেন টাকা। আবার স্ত্রীদের দিয়ে বিভিন্ন এনজিও থেকে নিতেন লোন। এভাবে পর্যাপ্ত টাকা হাতিয়ে তাকে ছেড়ে পিছু নিতেন অন্যজনের। ২০ থেকে ২৯ বছর-৯ বছরে ৯টি বিয়ে করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেন সুলায়মান। নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) এসএম মোস্তাইন হোসেনের কাছে সুলায়মানের বিরুদ্ধে এক স্ত্রীর দায়ের করা অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে তার এসব অপকর্ম সম্পর্কে জানতে পারে পুলিশ। অবশেষে গত ১৮ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে নগরীর পাহাড়তলী থানা এলাকা থেকে সুলায়মানকে আটক করা হয়। একইসঙ্গে ১৫ বছর বয়সী তার নবম স্ত্রী রহিমাকে উদ্ধার করা হয়। উপ-কমিশনার এসএম মোস্তাইন হোসেন আজাদীকে বলেন, প্রতারক সুলায়মানের বিরুদ্ধে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর মা আমাদের কাছে অভিযোগ করেন। আমরা ওই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাকে আটক করি। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে প্রতারণার মাধ্যমে গত ৯ বছরে নয়টি বিয়ে করেছে বলে আমাদের কাছে স্বীকার করেছে। মূলত মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে নিজের ছবি এডিট করে মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলত সে। আবার কোনো কোনো স্ত্রীর নামে বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে পালিয়ে গিয়ে সেই স্ত্রীকে ডিভোর্স দিত। কোনো কোনো স্ত্রীর ভাই-বোন এবং আত্মীয়-স্বজনকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। তিনি বলেন, অনেকেই সামাজিক মান-মর্যাদার কথা ভেবে অভিযোগ করেন না। কিন্তু অভিযোগ পেলে আমরা এ ধরনের অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে পারি। সিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (বন্দর) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক আজাদীকে বলেন, সুলায়মানের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করতে গিয়ে তার নানা অপকর্মের বিষয়ে জানতে পারি আমরা। অষ্টম স্ত্রী রাহেলার কাছ থেকে তার ভাই ও বোনকে চাকরি দেওয়ার নাম করে সে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় আড়াই লাখ টাকা। তার নামে এনজিও থেকে ঋণ তুলে হাতিয়ে নিয়েছে এক লাখ টাকা। নবম স্ত্রী রহিমার কাছ থেকে যৌতুক নিয়েছে দুই লাখ টাকা। তার বিরুদ্ধে পাহাড়তলী থানায় নবম স্ত্রী রহিমার মা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। অন্যরাও তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।.tdi_3_ccf.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_3_ccf.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত