কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

এনআরবি’র পরিচালক বদিউজ্জামানের অঢেল সম্পদ

মানবজমিন প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

দেশে কোটি কোটি টাকা মূল্যের প্লট-ফ্ল্যাটের মালিক। ব্যাংক হিসাবেও রয়েছে কোটি কোটি টাকা। পরিবারের সদস্যদের নামেও রেস্টুরেন্ট, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসহ নানা সম্পত্তি গড়ে তুলেছেন। অন্যদিকে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ তো আছেই। সিঙ্গাপুরেরও পাসপোর্টধারী নাগরিক। তিনি এনআরবি ব্যাংকের পরিচালক মো. বদিউজ্জামান। বিদেশে অর্থ পাচার  ও অনিয়মের মাধ্যমে শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। সংস্থাটির প্রাথমিক অনুসন্ধানে বদিউজ্জামানের ঢাকা ও ঢাকার বাইরে অঢেল সম্পদের তথ্য বেরিয়ে আসে। গত ৭ই সেপ্টেম্বর এই ব্যাংক কর্মকর্তা ও তার দুই স্ত্রীর সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারি করেছে দুদক। গতবছর থেকেই এনআরবি ব্যাংকের পরিচালক মো. বদিউজ্জামানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক। সূত্র জানায়, বদিউজ্জামান নানা অবৈধ পন্থায় ৩৮২ কোটি টাকা পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়ার প্রমাণ পেয়েছে সংস্থাটি। কিন্তু এসব সম্পদ কোনটি কার নামে এখনও সেসব যাচাই-বাছাই চলছে। অনুসন্ধান সূত্র বলছে, এত এত টাকার মালিক হলেও কোনো আয়কর নথি নেই বদিউজ্জামানের। ২০১৪ সালে ব্যবসায়িক প্রয়োজনে একটি ই-টিআইএন খোলেন তিনি। তবে রাজস্ব বোর্ডে এখনও আয়কর রিটার্ন জমা দেননি এই ব্যাংক কর্মকর্তা। দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এফ- ব্লকে ১০ কোটি টাকা মূল্যের একটি সুবিশাল বাড়ি নির্মাণ করেছেন বদিউজ্জামান। একই আবাসিক এলাকায় ৫ কাঠা জমির উপর একটি সাততলা বাণিজ্যিক ভবনও রয়েছে তার।  পাশেই আরেকটি বহুতল ভবন ছিল তার। যা ১৬ কোটি টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন বদিউজ্জামান। দুদক সূত্র আরো জানায়, রাজধানীর গুলশানে রয়েছে প্রায় ৩১০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট, বনানীর এ-ব্লকে রয়েছে বহুতল আবাসিক ভবন, জোয়ার সাহারায় ভাটারা থানায় রয়েছে ১৪৫০ বর্গফুটের ৮টি ফ্ল্যাট এবং উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরে রয়েছে বহুতল আবাসিক ভবন।  ঢাকার বাইরেও রয়েছে বদিউজ্জামানের পরিবারের নামে কোটি টাকা মূল্যের জমি। জানা যায়, ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানায় প্রায় ১০ কেটি টাকা মূল্যের ১৪৮ বিঘা ভূমির ওপর বদিউজ্জামানের অ?্যাডভান্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক রয়েছে। এছাড়া  গোপালগঞ্জ জেলা সদরে রয়েছে প্রায় ৩৫০ বিঘা ভূমির ওপর অ?্যাডভান্স নিরালা ও অ্যাডভান্স সুগন্ধা নামে আবাসিক প্রকল্প। এছাড়া রয়েছে গোপালগঞ্জ সদরে সার্কিট হাউজ রোডে বিলাস বহুল আবাসিক বাড়ি। এসব স্থাবর সম্পদের আনুমানিক মূল্য ধরা হয়েছে প্রায় ৩৩২ কোটি টাকা।অন্যদিকে, অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে, ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডে বদিউজ্জামানের নামে প্রায় ২০ কোটি টাকার শেয়ার, এনআরবি ব্যাংক লিমিটেডে প্রায় ৩০ কোটি টাকার শেয়ার, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের দু’টি শাখায় সঞ্চয়ী হিসাব, এনআরবি ব্যাংকের বেশ কয়েকটি ব্যাংক হিসাব মিলিয়ে প্রায় ৪৫ লাখ টাকার রেকর্ড পেয়েছে দুদক। অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ধরা হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। বদিউজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের নামে অঙ্গন রেস্টুরেন্ট, তানিয়া ট্রেডিং প্রাইভেট লিমিটেড, তানিয়া ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড ও এশিয়া প?্যাসিফিক রিয়েলিটি ইনভেস্টমেন্ট সার্ভিস নামের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মালিকানার অস্তিত্ব পেয়েছে দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক সিরাজুল হক ও উপসহকারী পরিচালক সহিদুর রহমান অনুসন্ধানের দায়িত্ব পালন করছেন।গত ৭ই সেপ্টেম্বর দুদকের পরিচালক কাজী শফিকুল আলমের স্বাক্ষর করা একটি চিঠিতে  বদিউজ্জামান ও তার স্ত্রীদের সম্পদ বিবরণী চাওয়া হয়। এতে বলা হয়, এনআরবি ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক মো. বদিউজ্জামান ও তার দুই স্ত্রী নাসরিন জামান এবং তৌহিদা সুলতানার সম্পদের বিবরণী জমা দিতে নোটিশ জারি করেছে দুদক। আগামী ২১ কার্য দিবসের মধ্যে তাদের স্থাবর-অস্থাবর, দায়-দেনা সংবলিত সব সম্পদের তথ্য দাখিল করতে নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে ওই নোটিশে। এদিকে দুদক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বদিউজ্জামানের অনেক সম্পদ হলেও সব তার নিজের নামে নয়। কোনোটি তার প্রথম স্ত্রী কোনোটি তার দ্বিতীয় স্ত্রীর নামে কেনা। আবার কিছু আত্মীয়ের নামেও  রয়েছে। এসব যাচাই-বাছাই শেষে বলা যাবে কার নামে কী পরিমাণ সম্পদ আছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত